পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য জেলায় জেলায় প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এরই মাঝে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে নিয়ে দলের একাংশের ক্ষোভ বেড়েছে তাঁর জেলায়। এদিকে বিধায়কের অনুপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণায় ‘ক্ষুব্ধ’ মন্ত্রী। এই আবহে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন সিদ্দিকুল্লা।
জানা গিয়েছে, মন্তেশ্বর ব্লকে আহম্মদ হোসেন শেখকে ব্লক সভাপতি করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সিদ্দিকুল্লা। তবে আজিজুল হককে দল ফের একবার ব্লক সভাপতি করে। এতে অসন্তুষ্ট হন সিদ্দিকুল্লা। এদিকে পূর্ব বর্ধমানে জেলা স্তরে রদবদল নিয়ে অসন্তুষ্ট জেলার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, সিদ্দিকুল্লার নির্দেশেই এই রদবদল হয়েছে। এই সব মিলিয়ে এক জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে মমতা-অভিষেকের সঙ্গে নিজের তুলনা টানলেন সিদ্দিকুল্লা।
বর্তমানে মক্কায় আছেন সিদ্দিকুল্লা। এরই মাঝে তাঁর এক অডিয়ো ক্লিপ সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তবে এতে সিদ্দিকুল্লার মতো গলায় এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘সারা রাজ্যে আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেমন জনপ্রিয়তা, পশ্চিমবাংলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন নতুন, উঠতি যুবক হিসেবে কাজ করছেন, আমি তাঁর কাজের প্রশংসা করছি। কিন্তু সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর ক্রেজও আছে সারা পশ্চিমবঙ্গে।’
সিদ্দিকুল্লাকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘আমার বিধানসভা কেন্দ্রে, আমি যাকে ব্লক সভাপতি করতে বলব, তাকে না করা হলে সেটা সমীচিন নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আমার আশা, উনি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন। প্রয়োজনে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী অন্য পথে হাঁটতে পারে। সব রাস্তা খোলা আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মন্তেশ্বরের আমি আহমেদ হোসেন শেখের নাম দিয়েছিলাম। তবে তাঁকে বাদ দিয়ে আজিজুল রহমানকে সভাপতি করা হয়েছে। আমার সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়েছিল, সেই বৈঠকে আমি যা বলার বলেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি আবার অনুরোধ জানাব। পঞ্চায়েতে জিততে হলে আহমেদ হোসেন ছাড়া মন্তেশ্বরে ভালো ফল পাওয়া যাবে না। বিজেপি এবং সিপিএম গদ্দারি করে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাবে।’