বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর সঙ্গে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছিল। ভোট পর্ব মিটে গেলেও সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে নিয়ে দলের অন্দরে বিরোধ অব্যাহত। সেই বিরোধ এখন এমন একটি জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে এবার রাজ্যের মন্ত্রীকে শারীরিক নিগ্রহ, খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল Sk তৃণমূল নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। যদিও সেই তৃণমূল নেতা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জানান, উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাটে সরবেড়িয়ায় তিনি ত্রাণ দিতে গেলে ওই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান শেখ শাহজাহানের অনুগামীরা তাঁর ওপর চড়াও হন। তাঁকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়। মন্ত্রীর অভিযোগ, গোটা ঘটনার পিছনে শাহজাহানের উস্কানি রয়েছে। তাঁকে ধাক্কা দেওয়া হয়। এমনকী চলে না গেলে তাঁকে খুন করে দেওয়ার অভিযোগও করা হয়। সিদ্দিকুল্লা জানান, ‘যাঁরা রাজ্যের মন্ত্রীকে খুন করতে চান, তাঁরা আসলে গুন্ডা। এইসব লোকেরা দলে থাকলে দলের ক্ষতি। এইসব লোকেদের দল থেকে ছেঁটে ফেলতে হবে।’ তবে যাঁর বিরুদ্ধে এই মারাত্মক অভিযোগ, সেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অবশ্য দাবি, ‘উনি রাজ্যের মন্ত্রী। তাঁর উচিত সবার জন্য ত্রাণ নিয়ে যাওয়া। কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি সবার জন্য ত্রাণ নিয়ে যাননি। ফলে যারা ত্রাণ পাননি, তাঁরাই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের কোনও যোগ নেই।’ ইতিমধ্যে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মন্ত্রী যখন এলাকায় ত্রাণ দিতে গিয়েছিলেন, তখন তিনি বাধা পান। বাধা পাওয়ায় মন্ত্রী চলে আসেন। তবে তাঁকে নিগ্রহের মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে গোটা ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করার সুযোগ ছাড়েনি বিজেপি। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘যে ব্যক্তি এই ঘটনার পিছনে, তাঁর বিরুদ্ধে আগে বহুবার অভিযোগ করেছি। এখন ঝোলা থেকে বাঘ বেড়িয়ে পড়েছে।’ রাজ্যের মন্ত্রীর উপর হামলার অভিযোগ তুলে টিপ্পনি কাটতে ছাড়েনি রাজ্যের আরও বিরোধী দল আইএসএফও। দলের বিধায়ক নওয়াজ সিদ্দিকি জানিয়েছেন, ‘আইএসএফ এর আগে বহুবার ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় সরব হয়েছে। এবার রাজ্যের মন্ত্রীর উপর হামলার ঘটনা প্রমাণ করে দিল রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।’