ফের জলপাইগুড়িকে করিডর করে সাপের বিষ পাচারে চেষ্টার অভিযোগ। বনদফতরের দাবি জলপাইগুড়ি সংলগ্ন একটি জায়গা থেকে তিনজার ভর্তি সাপের বিষ শুক্রবার বাজেয়াপ্ত করেছে বনদফতর। একেবারে বিলাবহুল গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সাপের বিষ ভর্তি তিনটি বেলজিয়াম কাঁচের জার। তাতে ফ্রান্সের রেড ড্রাগন কোম্পানির লেবেল সাঁটা ছিল। বনদফতরের অভিজ্ঞ কর্তাদের দাবি এর আগেও সাপের যে বিষ উদ্ধার হয়েছিল তাতেও এই ধরনের লেবেল সাঁটা ছিল। সম্ভবত ফ্রান্স থেকে বাংলাদেশ হয়ে জলপাইগুড়িকে করিডর করে চিন, নেপাল, ভুটানে এই ধরনের বিষ পাচারের চেষ্টা করা করা হচ্ছিল। এই বিষের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৩ কোটি টাকা। এই ঘটনায় দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলির বাসিন্দা সেলিম আখতার মণ্ডল নামে এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এর সঙ্গেই উদ্ধার হয়েছে লাল রঙের একটি ডায়েরি। একেবারে রেড বুকের আদলে। এমনটাই বলছেন অনেকে। কিন্তু কী রয়েছে সেই লাল ডায়েরি?
পুলিশ ও বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ডায়েরিতে নানা ধরনের সাপের বিষের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত কোবরার ছবি সহ বিষের কথা উল্লেখ করা রয়েছে সেই ডায়েরিতে। তাছাড়া কোন ধরনের বিষ কী কাজে লাগে সেসব কথাও উল্লেখ করা রয়েছে ডায়েরিতে। অনুমান করা হচ্ছে, ডুয়ার্সের কোনও বাসিন্দাকে এই বিষ পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এই লাল ডায়েরিটিকেও ওই ক্রেতার হাতে তুলে দেওয়া হত বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে শুক্রবার ভোরে ফের এভাবে বিষ উদ্ধারের ঘটনা ভাবাচ্ছে বনদফতরকে। জারের ভেতরে থাকা তরলকে পরীক্ষা করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনদফতর।