বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Siliguri: তিনবারে টেনেটুনে মাধ্যমিক পাশ করেও স্কুল শিক্ষক, চিরকুটের খেলা

Siliguri: তিনবারে টেনেটুনে মাধ্যমিক পাশ করেও স্কুল শিক্ষক, চিরকুটের খেলা

যোগ্য শিক্ষকদের সম্মান করেন সকলেই। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই)

অভিযোগ উঠছে ২০১২ ও ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তরবঙ্গ জুড়েও সাদা খাতার মজা দেখানো হয়েছিল। কিন্তু সেই সাদা খাতাতেও চাকরি জুটে গিয়েছে বলে অভিযোগ। তবে শহরাঞ্চলে পড়ানোর ক্ষেত্রে তাদের সমস্য়া হতে পারে এটা আঁচ করে তাদের অনেকেই গ্রামের স্কুলে পোস্টিং চেয়েছিলেন বলে খবর।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক দুর্নীতির খবর সামনে আসছে ক্রমশ। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় শাসকদলের ঘনিষ্ঠদের চাকরি কতটা বৈধভাবে হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্নটা ছিল আগে থেকেই। এবার শিলিগুড়িতে উঠে আসছে একেবারে বিস্ফোরক অভিযোগ। একাধিক প্রাথমিক শিক্ষকের যোগ্যতাই এবার প্রশ্নচিহ্নের মুখে।

 অভিযোগ উঠেছে শিলিগুড়ির প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষক তিনবারের চেষ্টায় মাধ্যমিক পাশ করেছিলেন। মাধ্যমিকে মাত্র ৩৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে তিনি মাধ্যমিক পাশ করেছেন। একেবারে টেনেটুনে মাধ্যমিক পাশ। দ্বাদশ শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষা কোথা থেকে পাশ করেছিলেন তা নিয়েও জেলা শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরাই সংশয়ে ছিলেন। বিকাশ ভবনে একাধিক প্রার্থীর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে ওপরমহল কার্যত আমল দেয়নি বলেই অভিযোগ।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আসলে শিলিগুড়ি সহ উত্তরের একাধিক জেলায় টেটের নামে চিরকুটের খেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। এক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একাধিক সাংবাদিক ও তাঁদের পরিবারের লোকজন সহ শাসক ঘনিষ্ঠ অনেকেই প্রাথমিকে চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তারা কতটা স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা দিয়েছিলেন তা নিয়ে এবার নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

সূত্রের খবর, এক চাকরিপ্রার্থীকে ইন্টারভিউতে প্রশ্ন করা হয়েছিল বিএ ও এমএ'র পুরো কথাটা কী? ওই প্রশ্ন শুনে কার্যত আকাশ থেকে পড়েছিলেন প্রার্থী। কিন্তু তিনিই এখন স্কুল শিক্ষক হিসাবে প্রতিমাসে বেতন তুলছেন। 

অভিযোগ উঠছে ২০১২ ও ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তরবঙ্গ জুড়েও সাদা খাতার মজা দেখানো হয়েছিল। কিন্তু সেই সাদা খাতাতেও চাকরি জুটে গিয়েছে বলে অভিযোগ। তবে শহরাঞ্চলে পড়ানোর ক্ষেত্রে তাদের সমস্য়া হতে পারে এটা আঁচ করে তাদের অনেকেই গ্রামের স্কুলে পোস্টিং চেয়েছিলেন বলে খবর। তবে এখন তাঁদের অনেকেই স্কুলে বিশেষ আসছেন না বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর।

বন্ধ করুন