বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Siliguri: বাবাকে ফোন, তারপরই করোনেশন ব্রিজ থেকে তিস্তায় মরণঝাঁপ ছেলের

Siliguri: বাবাকে ফোন, তারপরই করোনেশন ব্রিজ থেকে তিস্তায় মরণঝাঁপ ছেলের

তিস্তা থেকে উদ্ধার করা হল যুবকের দেহ। 

সূত্রের খবর, ওই যুবক নাকি নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার আগে তার বাবাকে ফোন করেছিল। তারপরই সে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এমনকী বাবাকে ফোন করে সে নাকি ঝাঁপ দেওয়ার কথা জানায়। তারপরই এই মরণঝাঁপ।

শিলিগুড়ির কাছে সেভকের করোনেশন ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিলেন এক যুবক। তিস্তা নদী থেকে তার নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশকর্মীরা ও করোনেশন ব্রিজের দায়িত্বে থাকা রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা দ্রুত নদীতে তল্লাশিতে নামেন। তারপর তার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে জানা যায় ওই যুবকের নাম অভয় কুমার আগরওয়াল। তার বাড়়ি শিলিগুড়ির জ্যোতিনগরে।সূত্রের খবর ওই যুবক মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তবে এই ঘটনার জেরে পরিবারের লোকজন ভেঙে পড়েছেন।

সূত্রের খবর, তিনি যে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছেন এটা নাকি তিনি বাড়ির লোকজনকে বলেছিলেন। বাড়িতে বাবা মা তাকে বুঝিয়ে নানাভাবে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। তবে তিনি কিছুতেই বুঝতে চাননি। এরপরই চরম পরিণতি হল যুবকের। সূত্রের খবর ওই যুবক নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার আগে অন্তত বার দুয়েক ধরে তিনি ওই ব্রিজের উপর দিয়ে হেঁটে যান। কিছুক্ষণ ব্রিজে পায়চারি করেন তিনি। তারপরই মরণঝাঁপ। তবে আচমকা তাকে ঝাঁপ দিতে দেখে দ্রুত তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন স্থানীয় কর্মীরা। নৌকা নিয়ে নদীতে তল্লাশি চালানো হয়। 

এদিকে সূত্রের খবর, ওই যুবক নাকি নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার আগে তার বাবাকে ফোন করেছিল। তারপরই সে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এমনকী বাবাকে ফোন করে সে নাকি ঝাঁপ দেওয়ার কথা জানায়। তারপরই এই মরণঝাঁপ। এককথায় অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। তবে বয়স্ক বাবার পক্ষে শিলিগুড়ি থেকে সেভকে এসে ছেলেকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তবে সেই ছেলেরই নিথর দেহ উদ্ধার হল তিস্তা নদী থেকে। হয়তো বাবা রওনাও দিয়েছিলেন। কিন্তু তার আগে সব শেষ।

অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। তবে ওই যুবক ঠিক কী কারণে অবসাদে ভুগছিলেন সেটা জানা যায়নি। তবে তার পরিবারে এখন শুধুই অন্ধকার।এদিকে রবিবার ময়নাগুড়ির দো মোহনি এলাকায় রেললাইনের উপর এক ব্য়ক্তি শুয়ে ছিলেন। তাকে দেখে ট্রেন থামিয়ে দেন ট্রেনের চালক। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। বেঁচে যান তিনি। আর রেললাইন থেকে উঠে যাওয়ার সময় তিনি জানান, আমার হাতে কোনও কাজ নেই। সেকারণেই তিনি এই চরম পথ বেছে নিতে চেয়েছিলেন। তবে তিনি বেঁচে গিয়েছেন। কিন্তু বাঁচতে পারলেন না অভয় কুমার।

বন্ধ করুন