বাংলাদেশ ইস্যুতে বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চের মিছিল নামল শিলিগুড়িতে। বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের উপর হামলা এবং বাংলাদেশে ইসকনের প্রাক্তন পুরোহিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান সংগঠনের কর্মীরা। সেখানে বাংলাদেশি পণ্য বিক্রি ও আমদানি থেকে বিরত থাকতে ব্যবসায়ীদের কাছে আবেদন জানান আন্দোলনকারীরা। মিছিলে স্লোগান ওঠে - 'মহম্মদ ইউনুসের চামড়া, গুটিয়ে দেব আমরা'। সংবাদসংস্থা এএনআইকে বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চের চেয়ারম্যান বিক্রমাদিত্য মণ্ডল বলেছেন, 'বিক্ষোভ চলাকালীন আমরা শিলিগুড়ির বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করেছি। এবং সেখানে গিয়ে দোকানদারদের বাংলাদেশি পণ্য বিক্রি ও আমদানি বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করেছি।' বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ক্রমাগত অত্যাচারের পরিপ্রেক্ষিতেই এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় বলে তিনি জানিয়েছেন। (আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলা, গর্জে উঠলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা)
আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশ ভেঙে পৃথক হিন্দুদেশ...', 'ফর্মুলা' বাতলে দিলেন প্রাক্তন সেনা কর্তা!
আরও পড়ুন: মণিপুর হিংসায় ব্যথিত ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক, অকপটে বললেন - ‘যা ঘটছে, তা…’
প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠে আসছে। হাসিনার বিদায়ের পর থেকেই মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চলেছে। সেই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে বিএনপি-জামাত দেখেছিল 'আওয়ামি লিগের ষড়যন্ত্র'। তবে কয়েক মাস যাওয়র পর সেই দেশে হিন্দুদের অবস্থা যেন আরও খারাপ। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে সংখ্যালঘুদের। অনেককে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে। এরই মাঝে চট্টগ্রামে হিন্দু এবং বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘু অত্যাচারে সেখানে অভিযুক্ত খোদ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারি ঘিরে আরও উত্তাল হয় পরিস্থিতি। এদিকে সেখানে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা পথে নেমেছে। 'জুলাই বিল্পবের' ছাত্র নেতারাও ইসকনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। একদিন আগেই আবার সুনামগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। (আরও পড়ুন: '...গুজরাট ২০০২-এর মোদীকে ফেরত চাই', বাংলাদেশ নিয়ে এ কী বললেন তথাগত?)
আরও পড়ুন: '…কী হল এত আন্দোলন করে?', উপনির্বাচনের ফল নিয়ে মুখ খুলল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট
উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে কয়েক মাস আগে পর্যন্ত ভালো সম্পর্ক ছিল বাংলাদেশের। তবে শেখ হাসিনা সেই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকেই ক্রমে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কে চিড় ধরেছে। এদিকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বরং সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুনে মাঝে মাঝেই আক্রান্ত হচ্ছেন সেখানকার সংখ্যালঘু, হিন্দু, বৌদ্ধরা। তবে সেই স সমস্যা না মিটিয়ে মহম্মদ ইউনুসের সরকার এখন ব্যস্ত বাংলাদেশের ইতিহাস মুছতে। বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি মুছে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে সরকারি ভাবে। আওয়ামি লিগকেও ধুয়ে মুছে সাফ করে দিতে চায় বর্তমানের ক্ষমতাসীনরা।