১০ হাজার টাকার বিনিময়ে এক ছাত্রীকে পাশ করানোর আশ্বাস দেন শিলিগুড়ি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান অমিতাভ কাঞ্জিলাল। তাঁর কণ্ঠস্বরেরই এক অডিও টেপ (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হওয়ার পর এই অভিযোগ ওঠে। এবং তারই ভিত্তিতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাটিগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পাশাপাশি অভিযুক্ত ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল শিলিগুড়ি কলেজ কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে থানায় অভিযোগেও দায়ের করা হয়েছে কলেজের পক্ষ থেকে।
জানা গিয়েছে, অধ্যাপক অমিতাভ কাঞ্জিলালকে সমস্ত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা গুরুতর ওই অভিযোগের তদন্ত করতে কলেজে এক অভ্যন্তরীন কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এমনকী কলেজের ওয়েবসাইট থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ওই অধ্যাপকের নাম। অনলাইন ক্লাস থেকেও তাঁকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপে শিলিগুড়ি কলেজ কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার বুঝিয়ে দিলেন যে, কলেজের কোনও ব্যাপারেই অধ্যাপক অমিতাভ কাঞ্জিলালকে আর রাখা হবে না।
এদিকে, ঘটনাকে ঘিরে প্রতিবাদে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ। সোমবার অভিযুক্ত অধ্যাপকের শাস্তির দাবিতে চলে বিক্ষোভ অবস্থান। এমনকী অধ্যাপকের কুশপুতুলও দাহ করা হয়। এদিন কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠক শেষে সমিতির সভাপতি জয়ন্ত কর জানান, এক মাসের মধ্যে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে কলেজের অভ্যন্তরীন কমিটিকে। কলেজের বিভিন্ন দায়দায়িত্ব থেকে অভিযুক্ত অধ্যাপককে অব্যাহতি দিয়ে তাঁকে শোকজ করে এই ঘটনার কারণ লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। যদিও অধ্যাপক অমিতাভ কাঞ্জিলালের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য কয়েকজন তাঁকে টার্গেট করছে।