প্যান্ডেল বাঁধা, ক্যাটারিং সহ যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছিল পাত্রীর পরিবারের লোকজম। মঙ্গলবার রাতেই কথা ছিল বিয়ের আসর বসবে। মেয়ের বাড়িতে আত্মীয় স্বজনরাও এসে গিয়েছিলেন। আচমকাই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার অবস্থা। শিলিগুড়ির পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাঘাযতীন কলোনির বাসিন্দা সুদেব চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল শিলিগুড়ির ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ গোস্বামীর।
এদিকে সোমবার আচমকাই ছেলের বাড়ির লোকজন মেয়ের বাড়ির লোকজনকে ডেকে পাঠান। এরপর তাদের বলে দেওয়া হয় প্রসেনজিৎ অফিসের কাজে ইসলামপুরে গিয়েছে। আর ফেরেনি। তবে নানাভাবে আশ্বস্ত করেন তাঁরা। এদিকে পাত্রীর বাবার দাবি, আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। কিন্তু ছেলেকে কোথাও ওরা লুকিয়ে রেখেছেন কি না সেটাও বুঝতে পারছি না। আমরা বুঝে গিয়েছি এই বিয়ে আর হবে না।
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। কার্যত লগ্নভ্রষ্টা হয়েছেন ওই কন্যা। এমনটাই দাবি মেয়ের পরিবারের। এদিকে পুলিশও ঘটনাস্থলে আসে। পাত্রের ফোন সুইচড অফ থাকায় পাত্রীর পরিবারের লোকজনও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
এদিকে পাত্রের পরিবারের দাবি, পাত্রকে বুঝিয়ে বিয়ে করার ব্যাপারে বলা হয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পাত্রের পরিবার অবশ্য ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণও দিতে চেয়েছে। এমনটাই দাবি পাত্রীর পরিবারের। কিন্তু পাত্রীর পরিজনদের দাবি, ৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে কী হবে। তাছাড়া টাকা দিয়ে কি এর ক্ষতিপূরণ হয়?