বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী অনেকের কাছেই তিনি ভগবান। একের পর এক যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন তিনি। তিনি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। শনিবার শিলিগুড়িতে আইন কলেজের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে তাঁর কাজের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমার কাজে ধারা অন্যরকম। বিচারপতি হিসাবে গরিব মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করি।
আদালতের বাইরে অথবা আদালতের ভেতরে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের প্রতিটি মন্তব্যই নজর কাড়ে মানুষ। সম্প্রতি তিনি বলেছিলেন ধেড়ে ইঁদুর ধরার কথা। তিনি বলেছিলেন ঢাকি বিসর্জনের কথা। এনিয়ে চর্চা কিছু কম হয়নি। এমনকী শিক্ষা দফতরের দুর্নীতির অভিযোগগুলি তিনি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। এনিয়ে শাসকদলের মধ্যে অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে। নাম না করে তাঁকে অরণ্যদেবের সঙ্গে তুলনা করেও খোঁচা দেন শাসকদলের এক নেতা। তার মধ্যেই শিলিগুড়ির দাগাপুরে বেসরকারি আইন কলেজের সেমিনারে যোগ দিয়েছিলে বিচারপতি। তিনি কী বলবেন সেদিকে নজর ছিল অনেকেরই।
বিচারপতি বলেন, আমার কাজের ধারা ও স্টাইল আলাদা। আমার হ্যাবিট বা ব্যাড হ্যাবিট যাই বলুন আমি সবার সঙ্গে কথা বলি। যে সব গরিব মানুষ হাইকোর্টে আসতে পারেন না তাঁরাও যাতে বিচার পান, তা সুনিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য।
বিচারপতির মুখে এই বক্তব্য শুনে নতুন করে আশায় বুক বাঁধেন অনেকেই। সমাজের প্রান্তিক মানুষদের কথা তুলে ধরেন তিনি।
এদিকে এদিন এক চাকরিপ্রার্থী বিচারপতির হাতে একটি অভিযোগপত্র তুলে দেন। সেটিও গ্রহণ করেন তিনি। চাকরিপ্রার্থীর দাবি, ২০১২ সালে একটি স্কুলের প্যানেলে তাঁর নাম ছিল। কিন্তু ইন্টারভিউয়ের পরে তিনি চাকরি পাননি। তবে এনিয়ে সরাসরি কোনও আশ্বাস দেননি বিচারপতি।