ডিউটি শুরুর আগে নাকে লাগিয়ে নিলেন দু'ফোঁটা সর্ষের তেল। দুপুর বা রাতের খাবার হোক - তাতেও সর্ষের তেল মাস্ট। আপাতত এভাবেই করোনাভাইরাস যুদ্ধে লড়াই করছেন শিলিগুড়ি কমিশনারেটের পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকরা। আর সেই টোটকা চালু করেছেন খোদ শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার ত্রিপুরারি অর্থব।
সেই দাওয়াই নিয়ে বাইরের কারোর সঙ্গে তেমন কথা বলতে চান না কমিশনার। তবে তিনি জানিয়েছেন, ছেলেবেলা থেকেই ঘরোয়াভাবে সেই টোটকা ব্যবহার করা হয়। ফলে শারীরিক ক্ষমতা বাড়ে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পুলিশ কর্মী এবং আধিকারিকরা একেবারে সামনের সারি থেকে লড়ছেন। সেজন্য সেই ঘরোয়ার টোটকার মাধ্যমে নিজের বাহিনীর শারীরিক ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন কমিশনার।
সেইমতো শিলিগুড়ির পুলিশ কর্মী এবং আধিকারিকরা নাকে সর্ষের তেল দিচ্ছেন। খাবারেও মেখে খাচ্ছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমিশনারেটের পুলিশ কুকুরের হ্যান্ডলার এক কনস্টেবল, তাঁর স্ত্রী, কালিম্পঙের দুই সিভিক ভলান্টিয়ার ছাড়া সরকারিভাবে আর শিলিগুড়িতে কোনও পুলিশকর্মীর শরীরের করোনার হদিশ মেলেনি। তাই কমিশনারের সর্ষের তেল টোটকায় শারীরিক সক্ষমতা বেড়েছে বলে মত অনেকের।
চিকিৎসকদের বক্তব্য, পুলিশ তো সারাদিন রোদ-বৃষ্টিতে কাজ করেন। ফলে জ্বর এবং সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়া একেবারে স্বাভাবিক। সেগুলি করোনার উপসর্গ হলেও সর্দি-কাশি বা জ্বর মানেই করোনা নয়। তখন সর্ষের তেল দিয়ে নাক, বুক, গলা পরিষ্কার করলে শরীরের সক্ষমতা বাড়বে। সেইসঙ্গে অবশ্য মাস্ক পরা, স্য়ানিটাইজার ব্যবহার করা, সামাজিক দূরত্বের মতো বিধি মেনে চলারও পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।