শিলিগুড়ি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেল অন্তত ১০০ বসতি। গ্যাস সিলিন্ডার ভেটে প্রথম আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে প্রাথমিক ভাবে। পরে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের বাড়িতে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলরে ৬টি ইঞ্জিন। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ সুভাষপল্লীর রান্না বস্তিতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন জ্বলে ওঠে। এরপরই তা ছড়িয়ে পড়ে। শ’য়ে শ’য়ে বাড়ি, দোকানপাট পুড়েছে এই আগুনে। ঘটনায় তিনজন আহত হন। রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, খবর দেওয়া হলেও দমকলের ইঞ্জিন এসে পৌঁছতে অনেক দেরি করে। এই আবহে এলাকার বাসিন্দারাই আগুন নেভআনোর প্রচেষ্টা শুরু করেন। তবে এরই মধ্যে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে পরপর। এর জেরে আগুন নেভানোর কাজ ব্যাহত হয়। মোট ৮ থেকে ৯টি সিলিন্ডার ফাটে বলে দাবি স্থানীয়দের। এর জেরে আগুনেক তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। আগুন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে বহু দূর থেকে নজরে পড়ে লেলিহান শিখা।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই প্রাথমিক ভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। পরে আরও বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন এসে পৌঁছায় সেখানে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই তাৎক্ষণিক ভাবে সেখানে যান শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী। ঘটনাস্থলে যান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। এই ঘটনায় শাসক দলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। এদিকে সর্বস্ব হারিয়ে হাহাকার করতে দেখা যায় কয়েকশো মানুষকে। শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই বসতিতে প্রায় ২০০ জনের বাস বলে জানা গিয়েছে।