২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত শস্যবিমায় ২,২৮৬ কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য। এই সময়সীমার মধ্যে রবি-খরিপ মিলিয়ে মোট আটটি সরসুম অতিবাহিত হয়েছে। তারই মধ্যে এই পরিমাণ ক্ষতিপূরণকে নজিরবিহীন বলে মনে করা হচ্ছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, ২০১৯ সালের খরিফ মরসুমে ১৩ লক্ষেরও বেশি কৃষক ৪২৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। রবি মরসুমে ১১ লক্ষ ১৪ হাজার কৃষক পেয়েছেন ৪৩১ কোটি টাকা। ২০২০ সালের খরিফ মরসুমে ৪ লক্ষ ৭৭ হাজার কৃষক পেয়েছন ১০৬ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। আবার রবি মরসুমে ১ কোটি ৭ লক্ষ কৃষক পেয়েছন ৩০৯ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ। ২০২১ সালের খরিফ মরসুমে দেওয়া হয়েছে ৪১০ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ। রবি মরসুমে দেওয়া হয়েছে ৪২৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ। ২০২২ সালের খরিপ মরসুমে ২ কোটি ৩৭ লক্ষ কৃষক পেয়েছেন ২০৪ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ। চলতি আর্থিক বছরে এখনও রবি মরসুম শেষ হয়নি। তাই সেই হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি। তবে কৃষি দফতরের আধিকারিকদের মতে সেই হিসাব পেলে বিমার টাকা প্রাপ্তির অঙ্ক আড়াই হাজার কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
এই শস্য বিমা প্রকল্পে কৃষকদের কোনও প্রিমিয়াম দিতে হয় না। সবটাই বহন করে রাজ্য সরকার। প্রধানমন্ত্রীর ফসল বিমা প্রকল্পের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই বলেই জানিয়েছেন নবান্নের এক আধিকারিক। তার মতে পূর্ব ভারতে এই প্রকল্প নজিরবিহীন। নিজেদের রাজ্যে এই ধরনের প্রকল্প চালু করার বিষয়ে ইতিমধ্যেই ওড়িশা আগ্রহ দেখিয়েছে। গত সপ্তাহে ওড়িশা যুগ্ম সচিব ও উপসচিব পদমর্যাদার দুই আধিকারিক নবান্নে এসে ঘুরে গিয়েছেন। তাঁরা কৃষি সচিব ওঙ্কার সিং মিনা-সহ একাধিক কৃষি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন। তাঁরা হাওড়া জেলায় কৃষি আধিকারিকের দফতরে গিয়ে এ নিয়ে বিস্তারিত জেনে বুঝে আসেন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup