বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সোমবার মুর্শিদাবাদ থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত সাগরদীঘিতে এক সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদ্গার করেন তিনি। প্রয়াত বিধায়ক সুব্রত সাহার প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আর এখানেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, গায়ক অরিজিৎ সিং জঙ্গিপুরে হাসপাতাল তৈরি করতে চান। এটা একটা নয়া বিষয় হবে বলে মনে করছেন গ্রামবাসীরা।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? মুর্শিদাবাদের নদী ভাঙ্গন রোধের দায়িত্ব ছিল কেন্দ্রের। ৬০০০ কোটি টাকা দেয়নি। ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া বলে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, বাংলার পাওনা কেন দেওয়া হবে না? ওবিসির টাকা বন্ধ রয়েছে। বাংলা বাড়ির টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। কেন্দ্র নিজের পকেট থেকে টাকা দেয় না বলে সুর সপ্তমে চড়ান। তারপর তিনি বলেন, ‘গায়ক অরিজিৎ সিং জঙ্গিপুরে হাসপাতাল তৈরি করতে চান। হাসপাতাল তৈরিতে অরিজিৎকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সবরকম সাহায্য করা হবে। মুর্শিদাবাদের জন্য অনেক করেছেন সুব্রত সাহা। পরে যিনি আসবেন তিনিও করবেন।’
এদিন নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেও নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দলনেতার নাম মুখে না নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার দুর্ভাগ্য কোনও একজনকে এখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সে বেছে বেছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা, কর্মীর উপরই আক্রমণ করছে। ক্ষমতা দেখাচ্ছ? আজ ক্ষমতায় আছে বলে হিরো। কাল ক্ষমতা না থাকলে হয়ে যাবে জিরো। বিগ জিরো। জাকিরকে তো প্রাণে মারারও চক্রান্ত করা হয়েছিল। কোনও একজনকে এখানে কাজ করার জন্য দলের পক্ষ থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি লাইন করে কোন লোকটা তৃণমূলের শক্তিশালী, তাঁর বাড়িতে লোক পাঠিয়ে দিচ্ছে। অন্যের বাড়িতে পাঠানোর আগে নিজের বাড়িতে তল্লাশি চালান। ইডি, সিবিআইকে দিয়ে তল্লাশি করান।’
সাকেত গোখেলের গ্রেফতার নিয়েও আজ সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বঙ্গভবন থেকে গ্রেফতার করেছে এক সমাজকর্মীকে। রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করেছে। কয়েকদিন আগে শুনলাম আবার বঙ্গভবন থেকে গ্রেফতার করেছে। বঙ্গভবন রাজ্যের সম্পত্তি। বিনা অনুমতিতে গেলে আইনত ব্যবস্থা নিতে হবে। আইন আইনের পথে চলবে। অনুমতি না দেওয়ার পর বেআইনিভাবে গুজরাট পুলিশ বঙ্গভবনে ঢুকেছে। সব সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে গিয়েছে। গণতন্ত্রে যারা বুলডোজার চালায় তাদের বলি বুলডোজারের পরিবর্তে ক্লোজার হবে। এই অধিকার কে দিল? এত ঔদ্ধত্য কোথা থেকে এল?’