আরজি কর কাণ্ড নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্য সরকার। সেই আবহে সিঙ্গুরে জমি চাষযোগ্য করে তোলার দাবি জোরদার করেলেন কৃষকরা। এনিয়ে তারা রাজ্য সরকারের কাছে দাবিপত্র জমা দিয়েছেন। শুক্রবার সিঙ্গুর বন্ধ্যা জমির পুর্নব্যবহার কমিটি সদস্যরা নবান্নে যান। তবে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। পরে ইমেলের মাধ্যমে তাঁদের দাবিপত্র মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন। তাঁদের দাবি, হয় জমিকে চাষ যোগ্য করে তুলতে হবে না হলে সেখানে শিল্প করতে হবে।
আরও পড়ুন: এবার ‘সিঙ্গুর বন্ধ্যা জমি পুর্নব্যবহার কমিটি’ নামছে আন্দোলনে, পাল্টা মন্ত্রী
২০০৬ সালে সিঙ্গুরে টাটা মোটর গাড়ি কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণ করেছিল তৎকালীন বাম সরকার। তাকে কেন্দ্র করে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। ফলে বাধ্য হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয় টাটাদের। সেই সংক্রান্ত মামলায় ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট জমি দখলকে বেআইনি ঘোষণা করেছিল। শীর্ষ আদালত প্রায় ১ হাজার একর জমি চাষযোগ্য অবস্থায় এনে কৃষকদের ফিরিয়ে দিতে বলেছিল। তবে কৃষকদের অভিযোগ, আট বছর হয়ে যাওয়ার পরে এখনও সিঙ্গুরের বেশিরভাগ জমি চাষের অযোগ্য।
উল্লেখ্য, সিঙ্গুরে এই সমস্ত কৃষকদের মধ্যে ২১ জনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়, যার নাম সিঙ্গুর বন্ধ্যা জমি পুর্নব্যবহার কমিটি। সেই কমিটির তরফে যুগ্ম আহ্বায়ক দুধকুমার ধাড়া অভিযোগ করেন, শুধু চাষ হচ্ছে ৩০০ একর জমিতে। বাকি জমি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। জমিতে সিঙ্গুরের জমিতে চাষও হচ্ছে না, বাসও হচ্ছে না আবার শিল্পও হচ্ছে না। তাই বাকি জমি অবিলম্বে ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে হবে।
জমিকে চাষের যোগ্য করে তোলার পাশাপাশি তাদের দাবি হল- নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে। অধিগ্রহণের আগে জমিতে যে ধরনের অধিকার কৃষকদের ছিল তা ফিরিয়ে দিতে হবে। ১০০ জমিতে যে ছোট শিল্প ছিল সেগুলি ফিরিয়ে আনতে হবে। জমি চাষযোগ্য করা না গেলে কারখানা করতে হবে এই অব্যবহৃত জমির ওপর।
এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের বক্তব্য, এই দাবি ঠিক নয়। কারণ ৯০ শতাংশ জমি চাষযোগ্য। শুধুমাত্র কিছু জমির মালিক বাইরে থাকেন তাদের জমিতে চাষ হয় না। তৃণমূলের দাবিকে অস্বীকার করেছে সিপিএম। তাদের বক্তব্য, তৃণমূল প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে মিথ্যা কথা বলছে। ৭০০ একর জমিতে চাষ হয় না।