ফের মাথাচাড়া দিল সিঙুরে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল। ফের একবার দলত্যাগের হুঁশিয়ারি দিলেন সিঙুরের মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্নার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তোলেন তিনি। সঙ্গে বলেন, তাঁর মনোনীত ব্যক্তিকে সিঙুরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি না করা হলে দলত্যাগের ব্যাপারে ভাবতে বাধ্য হবেন তিনি।
এদিন সরাসরি বেচারামের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তোলেন তিনি। বলেন, বেচারাম যা বলেছে আমি শুনেছি। ও মিথ্যে কথা বলছে। সিঙুরে তৃণমূলের বিবাদ সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। বেচারাম বলেছেন, গোবিন্দ ঘড়াই ব্লক সভাপতি হিসাবে কাজ পরিচালনা করবেন। কিন্তু আমি এই দাবি মানিনি।
এর পরই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, সিঙুরে যতক্ষণ না রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মনোনীত মহাদেব দাসকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি করা হচ্ছে ততক্ষণ সিঙুর সমস্যার সমাধান হবে না।
মাস্টারমশাই জানান, এই নিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। মমতা মহাদেব দাসকে জেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, মহাদেব দাসকেই সিঙুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি করতে হবে।
রবীন্দ্রনাথবাবুর প্রশ্ন, হরিপালের বিধায়কের যদি সেখানকার ব্লক তৃণমূল সভাপতি নির্বাচনের অধিকার থাকে তাহলে সিঙুরে বিধায়কের কেন সিঙুরের ব্লক সভাপতি নির্বাচনের অধিকার থাকবে না? সিঙুরের বিধায়ক জানিয়েছেন, তাঁর দাবি মানা না হলে দলবদলের ব্যাপারে ভাববেন তিনি।
সম্প্রতি সাংগঠনিক রদবদলের পর থেকে সিঙুরে তৃণমূলের প্রচ্ছন্ন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। সেখানে মাস্টারমশাইয়ের অনুগামী মহাদেব দাসকে সরিয়ে গোবিন্দ ঘড়াইকে ব্লক সভাপতি করে জেলা নেতৃত্ব। এর পরই বিদ্রোহে সুর চড়ান রবীন্দ্রনাথবাবু। পালটা পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দেন বেচারাম। এর পরই তৃণমূলের তরফে তাঁর বাড়িতে হাজির হন দলের জেলার মুখপাত্র প্রবীর ঘোষাল। পরে বেচারাম দাবি করেন, সিঙুরে দলের সমস্যা মিটে গিয়েছে।