শীতলকুচি কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বৈঠক চলাকালীন বচসা হয়। আর তখনই বেরিয়ে পড়ে পিস্তল। সেই পিস্তল বেরিয়ে পড়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ে। সিনিয়র এবং জুনিয়রদের মধ্যে বিবাদের সময়ই উদ্ধার হয় ওই পিস্তল। তা নিয়ে কেউ বা কারা ভিডিয়ো করেছে। যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেই ভিডিয়ো হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল যাচাই করে দেখেনি। তবে ছাত্রনেতার কোমরে পিস্তল দেখে অনেকেই চমকে গিয়েছেন। ছাত্রনেতার ছদ্মবেশে কোনও দুষ্কৃতী নয় তো? এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
এদিকে পিস্তল নিয়ে ঘুরছেন ছাত্র নেতা বলে খবর চাউর হয়ে গিয়েছে। আর শীতলকুচি কলেজের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাহলে শীতলকুচি কলেজ কি দুষ্কৃতীদের আঁতুড়ঘর? উঠছে প্রশ্ন। একটা কলেজে এমন ঘটনা ঘটছে আর সবাই নির্বিকার। এটা চলতে পারে না। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট আতঙ্ক ছড়িয়ে অন্যান্য সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। খোদ কলেজের মধ্যে উদ্ধার হয়েছে দেশি পিস্তল। এই ঘটনাকে হালকা করে দেখা উচিত নয় বলেই অনেকের মত। তাই চাপানউতোর চলছে শিক্ষা দফতরের অন্দরেও। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে বন্দুক নিয়ে কেউ ঘোরাঘুরি করছে ভাবলেও শিউরে উঠছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: নতুন বছরেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতেন মুর্শিদাবাদের চিকিৎসক, আত্মহত্যার নেপথ্য কারণ কী?
অন্যদিকে এই ঘটনার খবর পুলিশের কাছেও পৌঁছে গিয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ করা হয়েছে সেটা জানা যায়নি। তবে গোটা জেলাজুড়ে চর্চায় শীতলকুচি কলেজ উঠে এসেছে। সম্প্রতি ঘোষণা হয়েছে শীতলকুচি কলেজের নতুন ইউনিট কমিটি। এই ইউনিট কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই এই কলেজে নানা ঘটনা ঘটছে। শনিবার শীতলকুচি কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে বৈঠক ছিল। সূত্রের খবর, ওই বৈঠক চলাকালীন হঠাৎ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের শীতলকুচি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র নেতা মাসুম আখতার দলবল নিয়ে কলেজে ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ। তারপরই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এখনকার সদস্যদের সঙ্গে ঝামেলা শুরু করে। কথা কাটাকাটির মধ্যেই বেরিয়ে পড়ে দেশি পিস্তল বলে অভিযোগ।
এই বদানুবাদ চলার পাশাপাশি ধাক্কাধাক্কিও শুরু হয়। ওই ধস্তাধস্তির সময় যখন চরমে উঠে উত্তেজনা তখন মাসুমের কোমরে থাকা দেশি বন্দুক মাটিতে পড়ে যায় বলে সূত্রের খবর। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তা কেউ বা কারা ভিডিয়ো করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেয়। যা এখন চর্চার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। তাই মাসুমের নামে কলেজ কর্তৃপক্ষ এখন শীতলকুচি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। যদিও পুলিশ আসার আগে কলেজ থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত ছাত্র নেতা। এই বিষয়ে শীতলকুচি থানার ওসি অ্যান্টনি হোড়ো বলেন, ‘একটি লিখিত অভিযোগ মিলেছে। অভিযুক্তের খোঁজ করা হচ্ছে।’ এই ঘটনায় কলেজের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।