গত ২৪ ঘণ্টায় ময়না থানা এলাকা থেকে ছ’জন নাবালিকা স্কুলছাত্রী প্রেমিকের হাত ধরে চম্পট দিল। প্রত্যেকেই নবম–দশম শ্রেণির ছাত্রী। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওই নাবালিকাদের পরিবারের সদস্যরা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তা কল্পনাও করতে পারছেন না জেলার পুলিশ অফিসাররা।
পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশের ধরপাকড় শুরু হতেই একজন বাড়ি ফিরে এসেছে। পুলিশ খড়্গপুর থেকে আরও একজনকে উদ্ধার করেছে। এক যুগলের খোঁজ না পেয়ে যুবকের বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। টিলখোজা গ্রাম থেকেই তিনজন ছাত্রী ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে ঘর ছেড়েছে। তাদের মধ্যে একই পরিবারে দুই ভাইয়ের দুই মেয়ে দু’জন যুবকের সঙ্গে চম্পট দিয়েছে। এদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে।
ময়না থানা সূত্রে খবর, পরপর কয়েকজন নাবালিকা পালানোর ঘটনা ঘটেছে। চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না থানার রামচক গ্রাম পঞ্চায়েতের মগরা গ্রামের এক ১৫ বছরের কিশোরী আগে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছিল। তাকে উদ্ধার করে আনার পর রবিবার ফের সেই যুবকের সঙ্গে বেপাত্তা হয়ে যায়। সোমবার আবারও খড়্গপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই কিশোরী দশম শ্রেণির ছাত্রী। সোমবার টিলখোজা গ্রাম থেকেই তিনজন স্কুলছাত্রী পালিয়েছে। একই পরিবারের দুই ভাইয়ের দুই কিশোরী মেয়ে টিউশনি পড়তে যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে আর ফেরেনি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইস ডে থেকেই নাবালিকাদের মধ্যে পালানোর প্রবণতা বেড়েছে। অনেক স্কুলছাত্রী বিয়ে করে নিচ্ছে। দীর্ঘ দু’বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। অনলাইনে পড়াশোনা করতে ছাত্রছাত্রীদের হাতে এসেছে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন। আর তা থেকেই ঘটছে বিপত্তি। স্কুলে ছাত্রীদের ড্রপ আউটের ঘটনা ঘটেছে। মহিষাদলের লক্ষ্যা গার্লস হাইস্কুলে দশম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত ৫৫ জন ছাত্রী ড্রপ আউটের শিকার। ড্রপ আউটের শিকার ছাত্রীদের প্রায় সকলের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। কেউ পালিয়ে বিয়ে করেছে। ভ্যালেন্টাইস ডে থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০জন নাবালিকার পালানোর ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ উদ্ধারও হয়েছে।