আবার বোমা উদ্ধার হল বহরমপুর থেকে। আজ, মঙ্গলবার বহরমপুরের গোরা বাজারে কুমার হোস্টেলের কাছে গঙ্গার ধারে পড়ে থাকতে দেখা গেল ৬টি সকেট বোমা। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। সদ্য নওদার ঘটনা এখনও দগদগে হয়ে রয়েছে। তার মধ্যেই কেমন করে গঙ্গার ধারে এই পরিত্যক্ত এলাকায় বোমা এল তা ভাবিয়ে তুলেছে সকলকে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ। এমনকী ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কোন দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তার ব্যবস্থা করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে বহরমপুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, এই ৬টি তাজা সকেট বোমা উদ্ধারে মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। আজ,মঙ্গলবার দুপুরে বহরমপুর শহরের গোরাবাজার কুমার হোস্টেলের পিছনে গঙ্গার ধারে এই সকেট বোমাগুলি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। আর খবর পেয়ে বহরমপুর থানার পুলিশ এসে বোমাগুলি উদ্ধার করে। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের পর থেকেই এই জেলায় বোমা–আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হতে শুরু করে। নওদায় বোমা মেরে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে খুন করা হয়।
আর কী জানা যাচ্ছে? এছাড়া এই জেলায় শুটআউট থেকে শুরু করে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ব্যাপক হারে। পুলিশ সক্রিয় থাকায় এখনও বড় কোনও বিপদের মুখে পড়েননি গ্রামবাসীরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উদ্ধার হচ্ছে বোমা এবং বোমা তৈরির মশলা। সঙ্গে মিলছে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ। মালদা এবং মুর্শিদাবাদ জেলাতে আগেও উদ্ধার হয়েছে একাধিক বোমা। এবার গঙ্গার জলের পাড়ে পাওয়া গেল ছটি তাজা সকেট বোমা। যা সবাইকে চিন্তায় ফেলেছে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, বোমা দেখে মনে হচ্ছে বোমাগুলি দীর্ঘদিন ধরে গঙ্গার জলের ধারে রাখা ছিল। এখনও পর্যন্ত ৬টি সকেট বোমা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে বোমা উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় পর্ব শুরু করে। তবে কে বা কারা বোমা রেখেছিল সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গ্রামবাসী ও চাষিদের বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাঁরা এখানে নিত্য যাতায়াত করেন। তাই তাঁরা যদি কোনও তথ্য দিতে পারেন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup