চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে কুণ্ডুলী পাকিয়ে বেরিয়ে এলো কালো ধোঁয়া। তা দেখে মাঝপথে ট্রেন থামিয়ে দিলেন চালক। ততক্ষণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা ট্রেনে। যাত্রীরা হুড়মুড়িয়ে নামতে শুরু করেছেন। প্রাণ বাঁচাতে লাফিয়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন যাত্রীরা। উদ্বোধনের একসপ্তাহের মধ্যেই নবদ্বীপ ধাম–বালুরঘাট এক্সপ্রেস আতঙ্কের হয়ে দাঁড়াল। ঘটনাস্থল দক্ষিণ দিনাজপুরের দৌলতপুর। ছুটে যান রেলের কর্মী ও আধিকারিকেরা। তারপর মেরামত করে স্বাভাবিক হয় পরিষেবা।
ঠিক কী ঘটেছে এক্সপ্রেসে? রেল সূত্রে খবর, নবদ্বীপ ধাম এক্সপ্রেস বালুরঘাটের দিকে যাচ্ছিল। তখনই দৌলতপুরে ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। ইঞ্জিনের ব্রেকসু থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে মেরামত করার পর ধোঁয়া বেরোনো বন্ধ হয়। তারপর আবার বালুরঘাটে পাড়ি দেয় ট্রেনটি। তবে এই ঘটনা কেন ঘটল? তা ভাবিয়ে তুলেছে রেলকে।
আতঙ্কে যাত্রীরা কী করেছিলেন? এই ধোঁয়া বের হতে দেখে আতঙ্কে যাত্রীরা ছুটোছুটি করতে থাকে। ট্রেনটি মাঝপথে থেমে যায়। তখন লাইন এবং স্টেশনে লাফিয়ে নামতে থাকেন যাত্রীরা। ভাগ্যের জোরে ওই লাইনে তখন অন্য কোনও ট্রেন আসেনি। না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। গত সোমবারই বালুরঘাট–নবদ্বীপ ধাম এক্সপ্রেসের উদ্বোধন হয়।
উল্লেখ্য, মে মাসে কাটোয়া-হাওড়া লোকালেও একই ঘটনা ঘটেছিল। ওই ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। তার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চালক বর্ধমানের কালনা স্টেশনে ট্রেনটি থামিয়ে দেন। তখনও টরেনচি মেরামত করা হযেছিল। এবার সেই একই কাণ্ড ঘটল বালুরঘাট–নবদ্বীপ ধাম এক্সপ্রেসে।