এ যেন সেই আমফানেরই পুনরাবৃত্তি। আমফানের পর ক্ষতিপূরণ দেওয়াকে ঘিরে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। সাত মহল্লা বাড়ি, ছিটেফোঁটা ক্ষতিও হয়নি অথচ শাসকদলের প্রভাব খাটিয়ে ক্ষতিপূরণ আদায় করে নিয়েছিলেন এমন ভুরি ভুরি অভিযোগ সামনে এসেছিল। এবার সেই অনিয়ম রুখতে কড়া হয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু ইয়াসের পর জমা পড়া আবেদনপত্র খতিয়ে দেখতে গিয়ে হতবাক প্রশাসন। ভুরি ভুরি ভুয়ো আবেদনপত্র জমা পড়েছে। বাড়িতে গবাদি পশু ছিল না। অথচ আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বাজ পড়ে গরু মারা গিয়েছে। এরকম নানা নজির রয়েছে।
মূলত সরেজমিনে খতিয়ে দেখার সময়ই ধরা পড়েছে একের পর এক অসঙ্গতি। ক্ষতি হয়েছে ছিটেফোঁটা অথচ ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে আবেদনপত্রে। কেউ আবার ক্ষতিপূরণ কোথায় হয়েছে সেটা বাস্তবে দেখাতে পারছেন না অথচ ক্ষতিপূরণের ঢালাও লিস্ট হাজির করেছেন। এই আবেদনপত্রগুলিকে ঘিরেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, পশ্চিমমেদনীপুরের সিংহভাগ আবেদনপত্রই ভুয়ো। পরিসংখ্য়ান বলছে প্রায় ৯২ শতাংশ আবেদনের কোনও সারবত্তা নেই। এককথায় ভুয়ো। সূত্রের খবর, প্রায় ৩২ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ২৯ হাজার ৭০০ টি আবেদনই কার্যত ভুয়ো। মাত্র ২ হাজার ৩০০টি আবেদনপত্র যথাযথ রয়েছে। সব ক্ষেত্রেই অত্যন্ত যত্ন করে সবদিক খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত বছর আমফানের সময়তেও দেখা গিয়েছিল প্রায় ৭৬ শতাংশ আবেদনপত্র বাতিল করা হয়েছিল। তবে এবার যেন সেই সংখ্যা আরও বেশি। পাহাড় প্রমাণ এই আবেদনপত্র ঝাড়াই বাছাই করাটাই এখন প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তার দাবি, আবেদনপত্রগুলিকে যাচাই করা হচ্ছে। ভুয়ো আবেদনপত্রগুলি বাতিল করা হবে।