স্কুলের মিড ডে মিলের অডিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর। আপাতত প্রত্যেক জেলার ২০টি করে স্কুলে এই কাজ হবে বলে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তবে তার জন্য জেলা প্রশাসনকে সবরকম সহযোগিতা করার নির্দেশও দিয়েছে দফতর। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশেই মিড ডে মিল সামাজিক অডিট হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। অডিটের সময় প্রতিটি স্কুল থেকে তিনজন অভিভাবককে সেখানে সঙ্গে রাখা হবে। প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে তাঁদের।
কী জানা যাচ্ছে নির্দেশিকা থেকে? এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলা এবং মহকুমা থেকে ২০টি স্কুলে সোশ্যাল অডিট করার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। জেলাশাসক, মহকুমাশাসকদের ২৮ নভেম্বরের মধ্যে প্রত্যেকটি জেলা থেকে ২০টি স্কুলের নাম অডিটের জন্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশেই মিড ডে মিল প্রকল্প বা ‘প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি’ নির্মাণ যোজনার সোশ্যাল অডিট করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের অডিট শুরু হবে। আর ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে এই সংক্রান্ত অডিট রিপোর্ট। তারপর দ্বিতীয় পর্যায়ের অডিট শুরু হবে ২০২৩ সালে। এভাবে ছ’মাস অন্তর মিড ডে মিলের উপর অডিট চলবে। এই অডিটের প্রথম দিনেই স্কুলের পারিপার্শ্বিক অবস্থা, রান্নাঘর, ডাইনিং রুম, স্কুলের পানীয় জলের ব্যবস্থা, স্টোর রুম–সহ নানা বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। সেখানের বাস্তব চিত্রও তুলে ধরা হবে পৃথক একটি রিপোর্টে।
আর কী করা হবে? এইসব তথ্য যাচাই করার পরই খতিয়ে দেখা হবে ব্যালান্স শিট। দেখা হবে মিড ডে মিলের ব্যালান্স অ্যাকাউন্ট বুক। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের। পরে স্কুলের অভিভাবকদের দিয়ে সেগুলি যাচাই করা হবে। এই বিষয়ে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডা এই অডিটকে শিক্ষকদের হয়রানি বলে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘মিড ডে মিলে বরাদ্দ নামমাত্র। অথচ বারবার অডিট করে শিক্ষকদেরকে আসামির কাঠগড়ায় তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। যখন দেশের প্রতি তিনজন শিশুর মধ্যে একজন অপুষ্টিতে ভুগছে এবং দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি আকাশছোঁয়া, তখন প্রাথমিকে মাথাপিছু বরাদ্দ ৪৯ পয়সা বৃদ্ধি করে মাত্র ৫.৪৫ টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিকে ৭৪ পয়সা বৃদ্ধি করে ৮.১৭ টাকা দেওয়া হচ্ছে।’