সোদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু দুই মহিলার। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে। এদিকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় রেল পুলিশ। দুই মহিলার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, লাইনের ওপর দিয়ে হেঁটে পার হতে গিয়েই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন সেই দুই মহিলা। অসাবধানতার বশেই ছুটে আসা ট্রেন লক্ষ্য করেননি তাঁরা। সেই সময় হাটেবাজারে এক্সপ্রেস যাচ্ছিল সোদপুর দিয়ে। সেই ট্রেনের ধাক্কাতেই মৃত্যু হয় এই দু'জনের। রেলপুলিশ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে। (আরও পড়ুন: ঢাকা স্তব্ধ করার হুঁশিয়ারি, গভীর রাত পর্যন্ত পথে শিক্ষার্থীরা, শুরু নয়া আন্দোলন)
উল্লেখ্য, উত্তর শহরতলির অন্যতম ব্যস্ত রেল স্টেশন সোদপুর। এই স্টেশন দিয়েই দূরপাল্লার বহু ট্রেনও ছুটে যায় না থেমেই। এদিনও শিয়ালদা থেকে বিহারের সহর্সা যাচ্ছিল হাটেবাজারে এক্সপ্রেস। সেই সময় সোদপুর স্টেশনের আগে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে বলে খবর। রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃদের মধ্যে একজনের দেহ মেলে সোদপুরে। অন্য মহিলার মৃতদেহ মেলে নৈহাটিতে। জানা গিয়েছে, সেই মহিলার দেহ ইঞ্জিনের সামনের কাউক্যাচারের হুকে আটকে যায়।
জানা গিয়েছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা নাগাদ সোদপুর স্টেশনের আগে রেলগেটের কাছে লাইন পারাপার হচ্ছিলেন দুই মহিলা। সেই সময় প্রবল গতিতে ছুটে আসছিল আপ হাটেবাজারে এক্সপ্রেস। এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় এই বিপত্তি ঘটে। জিআরপি সূত্রের খবর, ধাক্কা খাওয়া এক মহিলার দেহ ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে আটকে গিয়েছিল। এর জেরে সেটি নৈহাটি পর্যন্ত চলে যায়। পরে নৈহাটি স্টেশনের কাছ থেকে সেই দেহ উদ্ধার হয়। এদিকে এই দুর্ঘটনার জেরে এমনিতে রেল পরিষেবায় কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি। তবে মৃত দুই মহিলার এখনও পরিচয় জানা যায়নি। তাঁদের শনাক্ত করার প্রচেষ্টা জারি আছে। এদিকে এই দুর্ঘটনায় রেলের কোনও গাফিলতি ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত বছর খড়দা স্টেশনে লেভেল ক্রসিংয়ে একটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়েছিল ট্রেন। সেই ঘটনার জেরে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। পরে সেই গাড়ির চালককে পুলিশ আটক করেছিল। ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই রাত প্রায় ৮টা ৪০ মিনিট নাগাদ ডাউন হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস খড়দার দিকে এগোচ্ছিল। ৯ নম্বর লেভেল ক্রসিংয়ের গেটম্যান লেভেল ক্রসিংয়ের গেট বন্ধ করছিলেন, সেই সময় একটি টাটা সুমো জোর করে লেভেল ক্রসিংয়ে ঢুকে পড়ে ও হাজার দুয়ারি এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। রেললাইনে টাটা সুমো দাঁড় করিয়ে পালিয়ে যান গাড়ি চালক।