বিশ্বভারতীর পাঁচিল বিতর্ক নিরশনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের সুবুদ্ধিতেই ভরসা রাখল আদালত গঠিত চার সদস্যের কমিটি। রবিবার বিতর্কিত মেলার মাঠ পরিদর্শন করেন তাঁরা। এর পর সমস্যার আশু সমাধান খোঁজার দায়িত্ব বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের ওপর ছেড়ে দেন তাঁরা।
তৎপরতার সঙ্গে বিশ্বভারতীর পাঁচিল বিতর্ক নিরসনে উদ্যোগী হল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণণ গঠিত বিশেষ কমিটি। রবিবার সেজন্য শান্তিনিকেতনে পৌঁছন কমিটির সদস্য বিচারপতি সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন্দ্রেীয় সরকারের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর ও রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। এদিন প্রশাসনের তরফে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদালা ও পুলিশ সুপার শ্যাম সিং।
শান্তিনিকেতন পৌঁছে মেলার মাঠ ঘুরে দেখেন কমিটির সদস্যরা। প্রশাসনিক আধিকারিকদের থেকে নানা তথ্য সংগ্রহ করেন। এর পর দেখা করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে। এর পর সমস্ত পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন কমিটির সদস্যরা। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করবে।
বলে রাখি, গত মাসে গ্রিন ট্র্যাবুন্যালের নির্দেশে পৌষ মেলা ময়দান পাঁচিল দিয়ে ঘেরা শুরু করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তার বিরোধীতা করে তৃণমূল বিধায়কের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় সেখানে। ভেঙে ফেলা হয় পাঁচিল। নির্মাণ সামগ্রী লুঠপাট করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, তাকিয়ে দেখলেও হামলাকারীদের রোখার ব্যবস্থা করেনি পুলিশ। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান, রবীন্দ্রনাথের ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে কেউ যদি আমাকে গুন্ডা বলে তো বলুক। বিজেপির দাবি, পৌষ মেলার মাঠ দখল করে প্রমোটারি করার মতলবে রয়েছে তৃণমূল।