৬ বছরের সম্পর্কে বিয়ে করতে বললেও বারবার পিছিয়ে গিয়েছেন প্রেমিক। উলটে তাঁর কাছে থাকা ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি দেখিয়ে মৈথুনে লিপ্ত হতে বাধ্য করতেন মাঝেমাঝেই। সেই আক্রোশেই প্রেমিকের লিঙ্গে ছুরি চালিয়েছেন বলে দাবি ডোমজুড়ের তরুণী সোমাইয়া খাতুনের। রবিবার পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছেন তরুণী। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করে আদালতে পেশ করেছে।
শনিবার রাতে ‘সারপ্রাইজ দেব’ বলে বাড়িতে ডেকে প্রথমে প্রেমিক আবদুর রহমানের হাত ও চোখ বেঁধে ফেলেন ১৯ বছরের এই তরুণী। তার পর প্রেমিকের লিঙ্গে ছুরি চালান সোমাইয়া। গুরুতর আহত যুবক SSKM হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে সোমাইয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশি জেরায় ধৃত জানিয়েছেন, ৬ বছর ধরে তাঁর সঙ্গে যুবকের সম্পর্ক ছিল। নিয়মিত সঙ্গমে লিপ্ত হতেন তাঁরা। তবে বার বার বিয়ে করতে বললেও রাজি হননি আবদুর। উলটে তরুণীর কিছু ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তুলে রাখেন তিনি। বার বার বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করায় সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন সোমাইয়া। অভিযোগ, তখন ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে যুবতীকে সঙ্গমে বাধ্য করতেন আবদুর। দিনের পর দিন এমন চলতে থাকায় আবদুরকে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি। সেজন্য অনলাইনে কেনেন ধারাল ছুরি।
তরুণী স্বীকার করেছেন, গোটা ঘটনাটাই পরিকল্পনা করে ঘটিছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, আমি ওকে ভালোবাসতাম। কিন্তু ও আমাকে ভালোবাসত না। ও শুধু আমার শরীর চাইত। আচ্ছা বলুন তো প্রেম মানে কি শুধু শরীর? দোষী প্রমাণিত হলে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা হতে পারে অভিযুক্ত তরুণী।