কুলটির নিষিদ্ধ পল্লীতে আচমকা অভিযান চালাল রাজ্য শিশু ও মহিলা কমিশন। ইতিমধ্যে ৪৭ জন নাবালিকাকে উদ্ধার করল কমিশন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আগামীদিনে সব দিক খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন।
গত বুধবার রাতে কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কুলটির লছিপুর দিশা জনকল্যাণ নিষিদ্ধ পল্লীতে। নিষিদ্ধ পল্লীতে ঢুকে নাবালিকাদের উদ্ধার করেন তাঁরা। কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চক্রবর্তী জানান, গোপন সূত্রে তাঁরা খবর পান যে নাবালিকাদের দেহ ব্যবসায় নামানো হয়েছে। যে ৪৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁরা কোথাকার বাসিন্দা সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। স্বেচ্ছায় নাকি তাঁদের জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানো হয়েছে, সেবিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তকারীদের কাছে খবর ছিল, এই এলাকায় ৫-৬ জন নাবালিকাকে জোর করে দেহব্যবসায় নামানো হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে বড়সড় অভিযান চালানো হয়। বিরাট পুলিশ বাহিনীকে নামানো হয়। কিন্তু সেখান থেকে ৪৭ জন নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। তাদের প্রত্যেককে হোমে পাঠানো হবে বলে খবর।
এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক বিভু গোয়েল জানান, ‘মহিলা কমিশনের সাহায্যে এই অভিযান চালানো হয়। সব দিক তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ আটকদের মধ্যে দেহ ব্যবসায় যুক্ত যুবকরাও রয়েছেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, করোনা পরিস্থিতিতে রাত ৮ টার পর দোকানপাট বন্ধ হয়ে রয়েছে, সেখানে লছিপুরে দেহ ব্যবসা রমরমিয়ে চলছিল। এই একই ধরনের ঘটনা যাতে আর চলতে না পারে, সেজন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন।