বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > স্বাস্থ্যসাথীর সুযোগ যা খুশি বিল করছে কিছু বেসরকারি হাসপাতাল: স্বাস্থ্য অধিকর্তা

রোগীর টাকা না থাকলেও সমস্যা নেই। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে। সেই সুযোগে যা খুশি বিল করছে একশ্রেণির বেসরকারি হাসপাতাল। বুধবার এমনই দাবি করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর।

বুধবার কলকাতায় ‘প্রোগ্রেসিভ নার্সিংহোম অ্যান্ড হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশন’-এর কার্যালয়ের উদ্বোধনে আসেন তিনি। সেখানেই এ বিষয়ে মুখ খোলেন তিনি। তিনি বলেন, 'কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অহেতুক টাকা খরচ করা হচ্ছে। তাই সকলে মিলে সচেতন হতে হবে। নাহলে এখন দুই-তিনটি প্যাকেজ প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, আগামিদিনে হয়তো আরও কয়েকটি প্যাকেজ বন্ধ হয়ে যাবে।'

কখনও আসল পরীক্ষা না করে হাজারও রকম অপ্রয়োজনীয় নমুনা পরীক্ষা। কখনও এক প্যাকেজে ভরতি করে দেখানো হচ্ছে অন্য প্যাকেজ। হাসপাতালে যতটা বেশি সময় কাটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে আগেও বিল বাড়ানোর অভিযোগ আছে বহু বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। বর্তমানে স্বাস্থ্যসাথীর ফলে সহজে টাকাও পেয়ে যাবে হাসপাতালগুলি। ফলে রাজ্য সরকারের জনসাধারণকে সাহায্যের চেষ্টাকে মুনাফা অর্জনের পথ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

বর্তমানে রাজ্যে ২.৩০ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে আছেন। প্রতিদিন স্বাস্থ্যসাথী খাতে ৬-৮ কোটি টাকা রাজস্ব থেকে ব্যয় করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর তারই একাংশ ঢুকছে অসাধু নার্সিংহোম ব্যবসায়ীদের পকেটে।

বুধবার সরকারি চিকিৎসকদের একাংশের সমালোচনা করেন রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা। তাঁর কথায়, 'একই চিকিত্সক বেশি টাকার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে বেশি বেশি পরিষেবা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, দুই স্থানেই কাজ করুন, তাতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু সরকারি কাজের টাকা নেবেন, কিন্তু সেখানে পরিষেবা দেবেন না, এটা অনুচিত। এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

বন্ধ করুন