কালীপুজোর শোভাযাত্রায় একেবারে ভয়াবহ ঘটনা। উদ্বেগেরও ঘটনা। শোভাযাত্রা যাচ্ছিল নদিয়ায়। সেই সময় পথচারী এক মহিলার গায়ে মদ ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কালীপুজোর শোভাযাত্রা থেকে ওই মহিলার গায়ে মদ ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শান্তিপুর শ্যামবাজার এলাকার ঘটনা।
এদিকে এই ঘটনার পরে ওই মহিলার স্বামী তীব্র প্রতিবাদ করেন। তারপর কয়েকজন যুবক ওই মহিলা, তাঁর স্বামী ও তাঁদের এক বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে এনিয়ে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
স্বামীর অভিযোগ, আমি স্ত্রীকে নিয়ে যাচ্ছিলাম। শোভাযাত্রার পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। এমন সময় শোভাযাত্রা থেকে কয়েকজন মদ নিয়ে স্ত্রীর শরীরে ছিটিয়ে দিল। এমনকী এক যুবক মুখে মদ নিয়ে স্ত্রীর গায়ে ছিটিয়ে দিয়েছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদ করতেই যুবকরা তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে রবিবার সকালেও ওই মহিলা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব স্থানীয়রা। ওই মহিলার স্বামী বলেন, আমি স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ির দিকে আসছিলাম। কোন ক্লাবের ঠাকুর বলতে পারব না। কোনও বোর্ড ছিল না। ওরা মদ খেয়ে কুলকুচি করে স্ত্রীর গায়ে ছিটিয়ে দিল। প্রতিবাদ করতেই ওদের পাড়ার ছেলেরা মারতে এল। সেই সময় একজন সিভিক ছিলেন। আমার স্ত্রীকে শোভাযাত্রার লোকজন মারল। মদের বোতল দিয়ে মাথায় মেরেছিল। আমার বন্ধুকেও মারধর করেছে। আমার স্ত্রী সুস্থ ছিলেন। আমরা বাইক নিয়ে যাচ্ছিলাম। সেই সময় দেখলাম ওরা মদের বোতল নিয়ে রাস্তায় ঘোরাচ্ছে। এরপর মদ খেয়ে কুলকুচি করে আমার স্ত্রীর গায়ে দিয়ে দিল। আর প্রতিবাদ করলেই শুরু হল মার।
এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে কাঁটা হয়ে রয়েছে ওই পরিবার। এবার প্রশ্ন এত সাহস পাচ্ছে কী করে দুষ্কৃতীরা? একেবারে কালীপুজোর শোভাযাত্রা থেকে গায়ে মদ ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ কি এদের বিরুদ্ধে আদৌ ব্যবস্থা নেবে?
তবে বাংলা কবে থেকে নারীদের এমন অসম্মান করতে শিখল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এদিকে কিছুদিন আগেই আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছিল। তারপর গোটা দেশ প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল। এমনকী নদিয়ার বিভিন্ন প্রান্তেও এই প্রতিবাদের ঘটনা হয়েছে। আর সেই নদিয়াতেই এবার একেবারে হাড়হিম করা ঘটনা। নারীর চরম অবমাননার অভিযোগ।