পুলিশের জালে ধরা পড়েছে বহুরূপী প্রতারক। জায়গা অনুয়াযী বেশ-নাম বদলে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। কি পরিচয়ে প্রতারণার করেনি সে। যেখানে যেমন, সেখানে তেমন বেশ-নাম পালটেছে অভিযুক্ত। কখনও নিজের পরিচয় দিয়েছে এম কে সিং তো কখনও আবার রোহিত মল্লিক। কোথাও সিবিআই অফিসার সেজেছে তো কোথাও মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিক আবার কোথাও ম্যাজিস্ট্রেট, কোথাও পুলিশ অফিসার এমনকী, সাংবাদিক সেজেও প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। পশ্চিম বর্ধমান চিত্তরঞ্জনের শিল্পাঞ্চলে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে অবশেষে দুমকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মুন্না ডোমকে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, লকডাউনে জেলা শাসক সেজে সে রাস্তায় তোলাবাজি করছিল। বাইক আরোহী, গাড়ি চালক ও দোকানদারদের কাছ থেকে ভুয়ো অফিসার সেজে টাকা আদায় করার সময় ধরা পড়ে। সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয়রাই তাকে ধরে দুমকার মাসালিয়া থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন। তা জানতে পেরে ধৃতকে দুমকা আদালত তুলে ৬ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে এ রাজ্যে নিয়ে এসেছে চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ।
পুলিশ তার কাছ থেকে নকল সিবিআই অফিসারের কার্ড, ভুয়ো প্রেস কার্ড, পুলিশের লাঠি, মানবাধিকার সংগঠনের কার্ড উদ্ধার করেছে। প্রতারিতদের দাবি, তাকে চারচাকা ও দু’চাকা গাড়িতে পুলিশ লেখা স্টিকার লাগিয়ে ঘুরতে দেখা যেত।
অভিযোগ উঠেছে, দিনের পর দিন কাউকে রেলে চাকরি দেওয়ার নামে, কাউকে সিবিআই অফিসার সেজে ব্ল্যাকমেল করে সে আর্থিক প্রতারণা চালিয়ে গিয়েছে। শুধু রেলে চাকরির দেওয়ার নামেই সে এক-একজনের কাছ থেকে ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হাতিয়েছে অভিযোগ। তার পরেই চিত্তরঞ্জন ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল মুন্না। ঝাড়খণ্ডের দুমকা থেকে অবশেষে ধরা পড়ল জালিয়াতির মূল পান্ডা।