পূর্ব বর্ধমানের কালনায় নিজের বাড়িতে প্রৌঢ়র গলাকাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ছেলেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বাবা উৎপল গুপ্তকে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ ছেলে সায়ন্তিক গুপ্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার তাকে আদালতে তোলা হলে তার পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
শ্বশুরবাড়িতে উদ্ধার জামাইয়ের দেহ, বউমার ৭ - ৮টা সম্পর্ক ছিল, দাবি মৃতের মাসির
শনিবার কালনার ডাঙ্গাপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে প্রৌঢ়র গলাকাটা দেহ উদ্ধারের পরে সায়ন্তিককে প্রথমে আটক করে কালনা থানার পুলিশ। জেরায় সে স্বীকার করে নেয় বাইকের চাবি কেড়ে নেওয়া নিয়ে বাবার সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি হয়। তার যেরে তার বাবার গলায় জানালার কাঁচের আঘাত লাগে। এরপরে পরিবারের সদস্যরা সেখানে ছুটে এসে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে প্রৌঢ়র দেহ। যদিও সায়ন্তিকের দাবি, মোটেও তার বাবাকে খুন করার উদ্দেশ্য ছিল না। গ্রেফতারের পর আদালতে যাওয়ার পথে সায়ান্তিক জানায়, ‘বাবাকে ধাক্কা মেরেছিলাম। তখন টাল খেতে খেতে জানলার কাঁচের সঙ্গে বাবার আঘাত লাগে। আমি বাবাকে খুন করিনি।’
শনিবার নিজের বাড়িতেই উদ্ধার হয়েছিল উৎপলের গলাকাটা দেহ। মৃতের ছেলে সায়ন্তিক গুপ্ত প্রথমে জানিয়েছিলেন, ‘বাবা নেশা করার জন্য বাইকের চাবি নিয়ে বেরোচ্ছিল। তখন আমি বাইকের চাবিটা কেড়ে নিই। চাবিটি কেড়ে নিয়ে যখন অন্য ঘরে চলে যায় তখন বিকট শব্দ পাই। এসে দেখি গলা দিয়ে গল গল করে রক্ত বেরোচ্ছে।’ ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন এলাকার কাউন্সিলর শর্মিষ্ঠা নাথ সাহা। পাশাপাশি কালনা থানার পুলিশও সেখানে পৌঁছয়। ঘটনার পরে মৃতের ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমে আটক করে পুলিশ। এরপরেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।