ঝাড়শালবাড়ির বাসিন্দা জামাই গোবিন্দ মণ্ডল। তাঁর সঙ্গে শ্যালক সুরঞ্জন মণ্ডল, শ্যালিকা এবং শাশুড়িদের মধ্যে পারিবারিক বিবাদ শুরু হয়। শনিবার সেই বিবাদ সপ্তমে পৌঁছয়। ওইদিন বিবাদ চরমে পৌঁছলে লাঠি, রড, কোদাল দিয়ে গোবিন্দ মণ্ডলকে বেদম প্রহার করেন তাঁর শ্যালক, শ্যালিকা এবং শাশুড়ি।
জামাইয়ের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের পারিবারিক বিবাদ দেখা দেয়। সেই পারিবারিক বিবাদ মারামারিতে পরিণত হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে জামাইয়ের উপর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর প্রচণ্ড প্রহারে জামাই মারা যান। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং ২ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঝাড়শালবাড়ি এলাকায়।
ঠিক কী ঘটেছে জলপাইগুড়িতে? স্থানীয় সূত্রে খবর, ঝাড়শালবাড়ির বাসিন্দা জামাই গোবিন্দ মণ্ডল। তাঁর সঙ্গে শ্যালক সুরঞ্জন মণ্ডল, শ্যালিকা এবং শাশুড়িদের মধ্যে পারিবারিক বিবাদ শুরু হয়। শনিবার সেই বিবাদ সপ্তমে পৌঁছয়। ওইদিন বিবাদ চরমে পৌঁছলে লাঠি, রড, কোদাল দিয়ে গোবিন্দ মণ্ডলকে বেদম প্রহার করেন তাঁর শ্যালক, শ্যালিকা এবং শাশুড়ি।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত জামাইয়ের নাম গোবিন্দ মণ্ডল (৫৭)। তাঁর বাড়িতে যান ডিএসপি ক্রাইম বিক্রমজিৎ লামা, ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গা–সহ পুলিশ কর্তারা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দফায় ধফায় তাদের জেরা করা হচ্ছে। গোবিন্দের দুই ছেলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।