বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শ্যালিকাকে কোপালেন জামাইবাবু। ঘটনা নদিয়ার হাঁসখালি থানা এলাকার। অভিযুক্ত বিমল বিশ্বাস কৃষ্ণনগর কোতয়ালি থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। ওদিকে অভিযুক্তের ছেলের দাবি, মাসি বাবার কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়ে অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক করতে চাইছে।
আরও পড়ুন - বোনাস বাড়ল রাজ্য সরকারি কর্মীদের! কত টাকা দেবে বাংলা? কারা কারা পাবেন? রইল সবটা
পড়তে থাকুন - ‘২০০৯ সালে কেন তাঁর সাথে আর কাউকে বাঙালি কেন্দ্রীয় পূর্ণমন্ত্রী হতে দেননি মমতা?’
আরও পড়ুন - ‘দলের থেকে জাত আগে’ মন্তব্যের জন্য শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে ক্ষমা চাইলেন হুমায়ুন
জানা গিয়েছে অভিযুক্ত বিমলবাবুর স্ত্রী গত হয়েছেন। তাঁর শ্যালিকারও স্বামী প্রয়াত। ২ জনেরই ২টি করে সন্তান রয়েছে। বিমলবাবুর ২ ছেলে বিয়ে করে ঘরে বউ এনেছেন। জানা গিয়েছে, স্ত্রী গত হওয়ার পর শ্যালিকার সঙ্গে বিমলবাবুর ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। কৃষ্ণনগর শহরের বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রী ওই প্রৌঢ় মাঝেমাঝেই শ্যালিকার বাড়িতে গিয়ে থাকতেন। তা নিয়ে নানা জনে নানা কথাও বলত। সেজন্য বিধবা শ্যালিকাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু সন্তানরা বড় হয়ে যাওয়ায় বিয়ের প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না শ্যালিকা।
অভিযোগ, মঙ্গলবার হাঁসখালিতে শ্যালিকার বাড়িতে গিয়েছিলেন বিমলবাবু। সেখানে ২ জনের মধ্যে বিয়ে করা নিয়ে তুমুল বিবাদ হয়। এর মধ্যে ছুরি দিয়ে শ্যালিকার ওপর আক্রমণ চালান প্রৌঢ়। আক্রমণ রুখতে গিয়ে হাতে গুরুতর আঘাত পান শ্যালিকা। এর পর বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি। কৃষ্ণনগর কোতয়ালি থানায় পৌঁছে আত্মসমর্পণ করেন।
ঘটনার কথা জানতে পেরে শ্যালিকার বাড়িতে যায় পুলিশ। অভিযুক্ত বিমলবাবুকে গ্রেফতার করেন আধিকারিকরা। ওদিকে আহত প্রৌঢ়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর হাতের আঘাত বেশ গুরুতর বলে জানা গিয়েছে।
বিমলবাবুর ছেলে তুফান বিশ্বাস বলেন, ‘আমার বাবার কাছ থেকে মাসি বিভিন্ন সময় লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছে। এখন অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক করতে চাইছেন তিনি। এতেই হয়তো বাবার মাথা গরম হয়ে গিয়েছে।’