‘বউ, ছেলেকে ফেরত চাই, আমার গাড়ি চাই।’ এই দাবিতে শ্বশুরবাড়ির সামনে গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ধরনায় বসলেন জামাই। ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুরের সূত্রাগড় ২ নম্বর কলোনির। জামাইয়ের নাম অনুপ কুমার। জামাইয়ের অভিনব ধরনা দেখে ভিড় করেন স্থানীয়রা। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে শ্বশুরবাড়ির সামনে রাস্তায় ধারনায় বসে থাকেন ওই ব্যক্তি।
কী কারণে জামাইয়ের এমন কাণ্ড?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার হাবিবপুরের বাসিন্দা অনুপ কুমার মজুমদারের সঙ্গে শান্তিপুরের সূত্রাগড় ২ নম্বর কলোনির বাসিন্দা সুচন্দ্রা বিশ্বাসের বিয়ে হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। কিন্তু, তাদের বিবাহ জীবন সুখের হয়নি। অনুপের অভিযোগ, বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে অনুপের স্ত্রী। পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার যার ফলে মাঝেমধ্যেই তাদের পরিবারে অশান্তি হতো। ক্রমেই তাদের মধ্যে অশান্তি বাড়তে থাকে। অনুপ প্রতিবাদ জানালে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। এরপর সুচন্দ্রা বাবার বাড়িতে চলে আসে। তারপরে তাঁর স্ত্রী একটি খোরপোষের মামলা করে অনুপের বিরুদ্ধে। জামাই অনুপ মজুমদারের অভিযোগ, স্ত্রী সুচন্দ্রা তাঁর কাছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ১ লক্ষ টাকা দাবি করে। মামলা থেকে রেহাই পেতে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন তিনি। তারপরেও খোরপোষের মামলা তোলেনি স্ত্রী সুচন্দ্রা। আজ রবিবার শ্বশুরবাড়ির সামনে বাধ্য হয়ে ধরনায় বসেন তিনি। যদিও অনুপ মজুমদারের বিরুদ্ধে খোরপোষের মামলা থাকলেও স্ত্রী সুচন্দ্রার বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অন্যদিকে, সুচন্দ্রার বাবার বাড়ির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তাদের জামাই অনুপ মজুমদার সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করছেন সুচন্দ্রার নামে। বিয়ের পর থেকেই প্রতিনিয়ত অত্যাচার করত সুচন্দ্রাকে। তাই অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পেতেই বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেয় সুচন্দ্রা। আর জামাইকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে করা হয় খোরপোষের মামলা। তবে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসার ঘটনায় অনেকটাই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এছাড়াও তৈরি হয় সরগরম পরিস্থিতি। যদিও অবৈধ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছে গৃহবধূর পরিবার। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup