দুর্নীতি মামলায় গতকাল ১০ ঘণ্টা ১০ মিনিট ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে। এদিকে শুক্রবার রাত ৮টা ১০ মিনিট নাগাদ থানা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল। আরও কয়েক ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হলেও আমার কোনও সমস্যা ছিল না।’ এদিকে জানা গিয়েছে, সোমবার ফের সৌমেন্দুকে কাঁথি থানায় তলব করা হতে পারে।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে করে সকাল ৯টা ৫৩ মিনিটে কাঁথি থানায় পৌঁছে যান সৌমেন্দু। সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবী অনির্বাণ চক্রবর্তীও। সকাল ১০টা নাগাদ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয় বলে জানা যায়। এরপর প্রায় ১০ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চলে সৌমেন্দুকে। পথবাতি দুর্নীতি থেকে শুরু করে সারদার নথি উধাও, পুরসভার ত্রিপল দুর্নীতি, শ্মশান দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় গতকাল জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শুভেন্দুর ভাইকে। এদিকে সৌমেন্দুকে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রক্ষাকবচ দিয়ে রেখেছে হাই কোর্ট।
সৌমেন্দু পুলিশি জেরা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। উচ্চ আদালত বলেছে, তাই তদন্তে সহযোগিতা করতে এসেছি। পুরো বিষয়টি ১৯৫৬-র জ্বালাযন্ত্রণা (নন্দীগ্রামে এই ব্যবধানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী) থেকে হচ্ছে।’ বিজেপি নেতা আরও বলেন, ‘সমস্ত কেস ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। বাকিটা জনতা বুঝে নেবেন। আমাকে ডেকেছে। বসিয়ে রেখেছে। আরও যদি কয়েক ঘন্টা বসিয়ে রাখা হত, আমার কোনও সমস্যা ছিল না।’ এদিকে সৌমেন্দুর আইনজীবী বলেন, ‘প্রচুর মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার মক্কেলকে ফাঁসানো হচ্ছে।’ এদিকে অনির্বাণবাবুর অভিযোগ, ‘অ্যাডভোকেট জেনারেল আশ্বস্ত করেছিলেন যে সৌমেন্দুকে দু’ঘণ্টার বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না। কিন্তু সেই কথা রাখা হয়নি।’