এবার কাঁথিতে শ্মশান কেলেঙ্কারি। আর তাতে নাম জড়াল অধিকারী পরিবারের। ইলেকট্রিক চুল্লির জন্য বরাদ্দ করা জমিতে বেআইনিভাবে দোকান তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, সেটা আবার নগদে বিক্রি করার অভিযোগ উঠল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশে এফআইআর দায়ের করল কাঁথি পুরসভা। সেই এফআইআর নথিতে নাম রয়েছে প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারী-সহ তিনজনের।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, শ্মশান নির্মাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়িয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর। এই দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে নেমে পুরসভার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার এবং ঠিকাদারকে গ্রেফতার করেছে কাঁথি থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের নাম দিলীপ বেরা এবং সতীনাথ দাস অধিকারী। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে ধৃতদের সাতদিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর নামও।
কীভাবে সামনে এল এই দুর্নীতি? কাঁখি পুরসভা সূত্রে খবর, কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান যখন ছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী তখন কাঁথি কলেজ মাঠ সংলগ্ন রাঙামাটি শ্মশানের সামনে স্টল নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই স্টল নির্মাণে কাঁথি পুরসভার পক্ষ থেকে দু’কোটি অর্থ ব্যয় করা হয়েছিল। আর এই স্টল নির্মাণ করেছিলেন ঠিকাদার সতীনাথ দাস অধিকারী। আর তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন কাঁথি পুরসভা সহকারী ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ বেরা। এখানে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। তাই তদন্তের দাবি জানান বর্তমান কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুবল মান্না।
কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, কাঁথি পুরসভা পুরপ্রধান সুবল মান্নার অভিযোগের ভিত্তিতে পুরসভার ঠিকাদার এবং সহকারী ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুবল মান্না বলেন, ‘আইন আইনের পথে চলবে। এই বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করব না।’