নৈহাটি, জগদ্দল থেকে শুরু করে ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়া, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক বোমা, গুলি, আগ্নেয়াস্ত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এবার বোমা বারুদ উদ্ধারকে হাতিয়ার করে শাসক দলকে কোণঠাসা করতে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। এনিয়ে সরব হলেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিআইপি গাড়িতে করে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। কার্যত সেই অভিযোগকে হাতিয়ার করে সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় যেখানে যাচ্ছে সেখানেই বেশি করে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে। বাংলার মন্ত্রীদের গাড়ি পরীক্ষা করা হোক, ভিআইপি গাড়ি পরীক্ষা করা হোক। আমার মনে হয় মন্ত্রীরা এইসব সরবরাহ করছে। তাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এত বোমা,গুলি পাওয়া যাচ্ছে। এখন মন্ত্রীদের এটাই কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ অন্যদিকে, আজ শুক্রবার সম্প্রতি বিভিন্ন সময়ে রাজ্যে একের পর এক বোমা উদ্ধার, বোমাবাজি নিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাজ্য বিজেপি। এই অভিযোগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীরা বারাকপুর কমিশনারেটে অভিযান চালায়। চিরিয়ামোড়ের কাছে একটি সভা করার পর বারাকপুর কমিশনারেটের কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, বোমাবাজি এবং বোমা উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গাড়িতে তল্লাশি চালানোর দাবি জানিয়েছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, নন্দীগ্রামে নিজের কনভয়ে করে বিপুল টাকা এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপরেই পাল্টা তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ। যদিও এ বিষয়ে কুণাল জানান, ‘আমাদের গাড়িতে ওসব যায় না। ওর কথায় কী এসে যায়? তদন্ত হোক তাহলে স্পষ্ট হবে।’