সবে ভোটে জিতেছেন। এরপরই মঙ্গলবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে এলেন সৌমিত্র খাঁ। কিন্তু কী কারণে তিনি এলেন বাগডোগরায়? সেকথার উত্তর দিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ নিজেই। সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেছেন , কাল তো জামাইষষ্ঠী। আপনি এই সময় এলেন?
সেই প্রশ্নের উত্তরে সৌমিত্র বলেন, 'জামাইষষ্ঠী করতেই এলাম। কারণ গত বছর আসা হয়নি। বার বার করে বলা হচ্ছিল যে আসতে হবে। এদিন ফাঁকা ছিল। সেকারণে এলাম। '
সেই সঙ্গেই সংগঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি সংগঠনের এমন কেউ বড় হইনি যে সংগঠন আমার হাতে তুলে দিতে হবে। আমি চাই শান্তিতে সংগঠনটা যারা করছেন তারা যেন সেটাই করেন। ’
সৌমিত্র বলেন, ‘কোনও সফর নয়, অনেকদিন পরে উত্তরবঙ্গের হাওয়া খেতে এসেছি। এখানে রাজু বিস্তা আছেন। জয়ন্তদা আছেন। খুব ভালো রেজাল্ট হয়েছে। প্রত্যেক জায়গায় ভালো কাজ হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার কাজের ইউসি দেয় না বলে টাকা আসতে দেরি হয়। ’
ভোট পরবর্তী হিংসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একদিন সবাইকে বিরোধী হতে হয়। কিন্তু পড়শির গায়ে যেভাবে হাত দেওয়া হচ্ছে, তাকে যেভাবে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে সেটা না হলেই ভালো হয়। আর সুকান্ত মজুমদারের মন্ত্রিত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেন্দ্রই এটা বলতে পারবে। আমি দলের বিরুদ্ধে নই। আমি রাজ্যের কোনও জায়গায় ভুল ত্রুটি হলে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করি। ’
এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামার পরেই বিজেপির কর্মীরা তাঁকে ফুল, উত্তরীয় দিয়ে বরণ করে নেন। এরপরই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জামাইষষ্ঠীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। তবে শিলিগুড়িতে সৌমিত্রর জামাইষষ্ঠীর প্রসঙ্গে নানা চর্চা শুরু হয়েছে ইতিমধ্য়েই। সম্প্রতি সুজাতার একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছিল। সেখানেও সৌমিত্র সম্পর্কিত নানা তথ্য ছিল বলে খবর।
এদিকে এবার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন সৌমিত্র। এরপর জিতেও যান। তাঁর বিপক্ষে ছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী তথা তাঁরই প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল। এদিকে এবার গোটা ভোটপর্বজুড়ে সৌমিত্র ও সুজাতাকে দেখা গিয়েছে একে অপরের বিরুদ্ধে নিশানা করতে। তবে শেষ হাসি হেসেছেন সৌমিত্রই। এবার তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান কী হবে তা নিয়ে এখনও কিছুটা ধোঁয়াশা। তিনি এবার মন্ত্রিত্বের দাবিও করেছিলেন। তবে সেই দাবি এখনও মেটেনি। তবে সেসব বিতর্ককে দূরে রেখে আপাতত জামাইষষ্ঠীতে এলেন সৌমিত্র।