কসবা ভুয়ো টিকাকাণ্ডে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শান্তনু সেন ও বিধায়ক অতীন ঘোষের বিরুদ্ধে কেন পুলিশে অভিযোগ জানানো হবে না? এই প্রশ্ন তুলে টুইট করলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। টুইটে তিনি লেখেন, 'মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ শান্তনু সেন, বিধায়ক অতীন ঘোষকে কেন অতিমারী আইনের আওতায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হবে না? একজনও যদি মারা যান তাহলে তৃণমূল বিধায়ককে সমস্ত দায় নিতে হবে।' ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে ধৃত দেবাঞ্জনের একটি ছবিও পোস্ট করেন তিনি। সৌমিত্র আরও লেখেন, 'চালচোর, আমফানের টাকা চুরি, ভ্যাকসিন চোর তৃণমূল। কেন্দ্রীয় সংস্থার সাহায্যে কলকাতার টিকা দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত।'
সৌমিত্র খাঁর পাশাপাশি ভুয়ো টিকাকণ্ড নিয়ে বিজেপির তরফে সরব হয়েছেন সায়ন্তন বসু, শুভেন্দু অধিকারীরা। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সল্টলেকের স্বাস্থ্যভবনে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। তাঁর দাবি, সিবিআই তদন্ত হোক। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধনকেও চিঠি লেখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এদিকে ফিরহাদ হাকিমের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকতে পারেন রাঘপ-বোয়ালরা, এমন অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
উল্লেখ্য, কসবার ভুয়ো টিকাকাণ্ডের পর্দা ফাঁস হয় তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর হাত ধরে। দেবাঞ্জনের ক্যাম্প থেকে টিকা নিয়েছিলেন মিমি। তবে টিকা নেওয়ার পর এসএমএস না পেয়ে সন্দেহ হওয়ায় তিনি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন ক্যাম্পটাই ভুয়ো। ক্যাম্পের উদ্যোক্তা ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন থেকে শুরু করে টিকার বদলে পাউডার গোলা জল দেওয়া হয় সাধারণ মানুষকে। পরে জানা যায়, শুধুমাত্র কসবা নয়। একই ধাঁচে একাধিক জায়গায় ক্যাম্প করেছিলেন দেবাঞ্জন। এদিকে দেবাঞ্জনকে একাধিক তৃণমূল নেতার সঙ্গে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। টুইটারে দেবাঞ্জন তৃণমূলের হাইপ্রোফাইল নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে ছবি পোস্ট করতেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই এই ঘটনাকে নিয়ে বিরোধীরা সরব হতে শুরু করেন। এই আবহেই টিকা কেলেঙ্কারি কাণ্ডে শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলে টুইট করলেন সৌমিত্র খাঁ। ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ শান্তনু সেন ও বিধায়ক অতীন ঘোষের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা কেন নেওয়া হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিষ্ণপুরের সাংসদ।