বছর ৬৫ বয়সের এক আদিবাসী জনজাতি বৃদ্ধাকে মদ খাইয়ে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। দক্ষিন ২৪ পরগনার গোসাবার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে। যৌন নির্যাতনের জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। গোসাবায় এখন এটাই চর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছে। বৃদ্ধা মহিলার সঙ্গে এমন নোংরা কাজ করার জেরে গ্রামবাসীরা ওই মদ্যপ যুবককে গণধোলাই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ এসে পড়ায় গণধোলাই জোটেনি। তবে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাতে অভিযুক্ত যুবক মদ্যপান করে ওই আদিবাসী বৃদ্ধা মহিলার বাড়িতে যায়। সেখানে ওই মহিলাকে ও তার ছেলেকে জোর করে মদ খাইয়ে দেয়। ওই বৃদ্ধা মহিলার বাড়িতে শুধু তাঁর ছেলে বউমা ছাড়া আর কেউই ছিলেন না তখন। বউমা অভিযুক্ত যুবককে চলে যেতে বললেও সে যায়নি। ওই বৃদ্ধার ছেলে মদের নেশায় তখন একেবারে বেঁহুশ। অভিযুক্ত বাড়ি থেকে যাচ্ছে না দেখে আশপাশের মানুষদের ডাকেন বউমা। তিনি ফিরে দেখেন অভিযুক্ত যুবক চলে যাচ্ছে বাড়ির পাশ দিয়ে। আর তখন তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন, শাশুড়ি অসুস্থ অবস্থায় বিবস্ত্র হয়ে পড়ে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে থেকে উদ্ধার দুই শিশু, মা ছেড়ে চলে গিয়েছে, পুলিশ দিল খাবার
অন্যদিকে এই ঘটনা দেখে সঙ্গে সঙ্গে ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে গোসাবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান বউমা চিকিৎসার জন্য। আর রাতেই তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজ, মঙ্গলবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার খবর চাউর হওয়ার পর গ্রামের মানুষজন অভিযুক্ত যুবককে গনধোলাই দিতে যান। তবে পুলিশের কাছে খবর চলে যাওয়ায় তারা এসে ওই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেন। ধৃত যুবককে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহ আজ, মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণ হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এছাড়া এই ঘটনায় পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ছেলে যদি মদ খেয়ে বেহুঁশ না হতো তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না বলে আক্ষেপ করা হচ্ছে। এই ঘটনা নিয়ে মৃত বৃদ্ধার পুত্রবধূ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমি বাড়িতে ঢুকে দেখি, যে শাশুড়ি রান্নাঘরে বিবস্ত্র হয়ে পড়ে রয়েছেন। পাশের ঘরে মদ্যপ অবস্থায় বেহুঁশ হয়ে পড়ে রয়েছেন আমার স্বামী। শাশুড়িকে গোসাবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাই। রাতেই অবস্থার অবনতি হয় তাঁর। তখন তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি।’