একসঙ্গে দুই ব্যবসায়ী নিখোঁজ ছিলেন। দু’জনেরই মোবাইল ফোন সুইচ অফ ছিল। আর এই দুই ব্যবসায়ীর দেহও মিলল একদিনেই। ঘটনাস্থল দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর। এই ঘটনার নেপথ্যে কি খুন? নাকি অন্য কোনও বিষয় আছে? এই প্রশ্ন দুটিই এখন বড় হয়েছে দেখা দিয়েছে। যার উত্তর খুঁজছে পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্যদের সব কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই দুই ব্যবসায়ী একসঙ্গে কোথায় গিয়েছিলেন এবং কেন গিয়েছিলেন? এটাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এদিকে আজ, সোমবার রাস্তার ধারের নয়নজুলিতে উদ্ধার হয়েছে দুই যুবক ব্যবসায়ীর মৃতদেহ। রাতে তাঁরা দু’জনেই একসঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। আজ সোমবার সকালে এই দুই ব্যবসায়ীদের দেহ উদ্ধার হয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের নইলাকুড়ি এলাকায় এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। গুপ্ত শত্রুর জেরে এই খুন কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সব পক্ষই। এই খুনের পিছনে টাকার কোনও বিষয় থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: বোনের বদলে কলেজছাত্রী দিদি এল মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে, প্রথম দিনেই গ্রেফতার হুগলিতে
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত এই দুই যুবক ব্যবসায়ীর নাম যীশু মার্ডি (৩৬) এবং নৃপেণ বর্মন (৩৭)। মৃত দু’জনের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার উদয় গ্রামে। এই দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। তাই তাঁরা মাঝেমধ্যেই রাতে বেরিয়ে ঘুরে আসতেন। আর নইলাকুড়ি এলাকায় এই দুই ব্যবসায়ী পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতেন। রবিবার রাতে দু’জনে একটি মোটরবাইক করে ওই পুকুর দেখার জন্য বেরিয়ে পড়েছিলেন। তারপর থেকে এই দুই ব্যবসায়ীর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। আজ গ্রামের অদূরে একটি নয়নজুলিতে মৃত অবস্থায় এই দুই ব্যবসায়ীর দেহ পাওয়া যায়। রাস্তার উপর মোটরবাইক পড়েছিল।
এই দেহ দুটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। ওই খবর পেয়ে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরিবারের সদস্যরাও মৃতদেহ শনাক্ত করেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মোটরবাইক নিয়ে পথ দুর্ঘটনার পরে তাঁরা নয়নজুলিতে পড়ে গিয়েছিলেন। তবে এখনই সবটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। খুন না দুর্ঘটনা সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এলেই বোঝা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কী। তবে পরিবারের সদস্যরা দাবি করছেন, রাত থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল দুই ব্যবসায়ীর। নিছক দুর্ঘটনায় এই মৃত্যু ঘটেনি। এই দু’জনকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যদের দাবি। এই বিষয়ে গঙ্গারামপুর থানার আইসি শান্তনু মিত্র জানান, এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।