বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > ঠান্ডায় কাঁপছে শিলিগুড়ি, বাঘমামার স্পেশাল মেনু বেঙ্গল সাফারিতে,কী খাচ্ছে হরিণ ?

ঠান্ডায় কাঁপছে শিলিগুড়ি, বাঘমামার স্পেশাল মেনু বেঙ্গল সাফারিতে,কী খাচ্ছে হরিণ ?

কেমন আছে বেঙ্গল সাফারির জন্তুরা? প্রতীকী ছবি (PTI Photo) (PTI)

সূত্রের খবর, হাই প্রোটিন বা ফ্যাট জাতীয় খাবার খেলে এই সময় জন্তুদের কিছুটা সুবিধা হয়। শীতের সময় শরীর গরম রাখতে তাদের এবার মেনুতেও বদল আনা হচ্ছে। এদিকে বাঘেদের মেনুতে সাধারণত মুরগি বা মোষের মাংস বরাদ্দ থাকে।

একেবারে ঠকঠক করে কাঁপছে শিলিগুড়ি। সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা। বেলা বাড়লে রোদের দেখা মিলছে। আবার দুপুরের পর থেকেই ফের কনকনে ঠান্ডা। এদিকে প্রবল ঠান্ডায় কার্যত জড়োসড়ো হয়ে রয়েছে বেঙ্গল সাফারির পশুরা। এবার প্রবল ঠান্ডার হাত থেকে তাদের সাময়িক রেহাই দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিল বেঙ্গল সাফারি কর্তৃপক্ষ। বেঙ্গল সাফারিতে একাধির বাঘ রয়েছে। ঠান্ডায় সমস্য়া হতে পারে তাদেরও। সেই নিরিখে তাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে উষ্ণ স্য়ুপ। শরীর গরম রাখতে এই স্যুপ যথেষ্ট কার্যকরী। এর সঙ্গেই এনক্লোজারের মধ্যে রুম হিটারও বসানো হয়েছে। শীতে বেঙ্গল সাফারি গেলে তাদের দেখে আসতে পারেন আপনিও। কেমন আছে ওরা?

একেবারে বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ মেনেই শীতের হাত থেকে জন্তুদের রক্ষা করতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে দফতর। তাদের খাবারের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন করা হচ্ছে। শীতের মধ্যে ফ্যাট জাতীয় খাবার দিলে জন্তুদের কিছুটা সুবিধা হতে পারে। সেকারণে বাঘেদের জন্য বরাদ্দ হচ্ছে ফ্যাট জাতীয় খাবার। একাধিক এনক্লোজারে একটু উষ্ণতার জন্য হিটারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, হাই প্রোটিন বা ফ্যাট জাতীয় খাবার খেলে এই সময় জন্তুদের কিছুটা সুবিধা হয়। শীতের সময় শরীর গরম রাখতে তাদের এবার মেনুতেও বদল আনা হচ্ছে। এদিকে বাঘেদের মেনুতে সাধারণত মুরগি বা মোষের মাংস বরাদ্দ থাকে। তবে বর্তমানে তাদের জন্য আরও ফ্যাট ও প্রোটিন জাতীয় খাবার দেওয়া হচ্ছে। এতে তাদের শরীর কিছুটা গরম থাকবে। সেই সঙ্গে এই সময় স্যুপ খেলেও বেশ তরতাজা থাকে জন্তুরা। চিতাবাঘেদের জন্যও স্পেশাল মেনুর ব্য়বস্থা করা হয়েছে।

তবে শুধু বাঘমামাই নয়, অন্যান্য জন্তুরাও ঠান্ডায় একেবারে জড়ো হয়ে গিয়েছে। রোদ বের হলে সারাদিন শুয়ে রোদ পোহাচ্ছে তারা। পাখিদের রোজকার খাবারে বাদামের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে বিদেশি যে সমস্ত জন্তু বেঙ্গল সাফারিতে রয়েছে তাদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখা রয়েছে।

এদিকে হরিণের খাবারের সঙ্গে গুড় দেওয়া হচ্ছে। এতে তাদের শরীর গরম থাকবে। তবে হিমালয়ান কালো ভল্লুকও থাকে বেঙ্গল সাফারিতে। তারা অবশ্য বহাল তবিয়তেই রয়েছে। আসলে তারা ঠান্ডার পরিবেশে থাকে। সেকারণে শিলিগুড়ির ঠান্ডা তাদের কাছে নস্যি। অন্য প্রানীরা যখন ঠান্ডায় জড়োসড়ো তখন কালো ভাল্লুক দাপিয়ে ঘুরছে এনক্লোজারে।

 

বন্ধ করুন