ডুয়ার্সের রেলপথে হাতিদের মৃত্যু ঠেকাতে নানা পদ্ধতির আশ্রয় নিয়েছে রেল। বনদফতরের সঙ্গে দফায় দফায় এনিয়ে বৈঠকও করেছে। জঙ্গলের মধ্য়ে রেলপথে ট্রেনের গতিও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও হাতির মৃত্য়ু পুরোপুরি ঠেকানো যায়নি। তবে এবার অত্যাধুনিক একটি বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করতে চাইছে রেল। পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম ডুয়ার্সের চালসা স্টেশন থেকে ক্য়ারন পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় কার্যকরী করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রেল সূত্রে খবর, যদি এই সিস্টেম সফল হয় তবে ডুয়ার্সের রেলপথে হাতি সহ অন্য়ান্য বন্যপ্রাণদের রক্ষা করতে এই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রেল সূত্রে খবর, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলে আলিপুরদুয়ার ডিভিশনে ডুয়ার্সের জঙ্গলে পরীক্ষামূলকভাবে এই সিস্টেম প্রয়োগ করা হবে। অপটিকাল ফাইবার নির্ভর এই ব্যবস্থা। রেললাইনের ধারে পাতা হবে এই ফাইবার। সিস্টেমের নাম দেওয়া হয়েছে Intrusion Detection System। অর্থাৎ রেললাইনের মধ্যে কোনও অনুপ্রবেশ হলেই তার সংকেত যাবে ট্রেনের চালকের কাছে। এরপরই তিনি ট্রেনের গতি কমানোর চেষ্টা করবেন।
এদিকে শীতকালে কুয়াশার মধ্যে অনেক সময় ট্রেন চালক রেললাইনের উপর হাতি উঠে এলেও বুঝতে পারেন না। সেক্ষেত্রে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। সেই দুর্ঘটনা এড়াতেই এবার তৎপর রেল কর্তৃপক্ষ। এদিকে আলিপুরদুয়ার স্টেশন থেকে গুলমা পর্যন্ত ১৫২ কিমি রেলপথের বেশিরভাগই পাহাড়া ও জঙ্গলের মধ্যে পড়ছে। চালসা ও নাগরাকাটার মধ্যে রেললাইনে ফের হাতির আনাগোনা বেড়েছে। নতুন করে যাতে দুর্ঘটনা না হয় সেকারণে সতর্ক রয়েছে রেলদফতর।