কিছুদিন ধরেই রাজ্যে জঙ্গি ধরা পড়ছে। আল–কায়দা থেকে জেএমবিজঙ্গি এখানে ধরা পড়েছে। এবার বড় চক্রান্তের পর্দাফাঁস করল রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। আজ শনিবার পাকিস্তানের এক চরকে ধরল এসটিএফ। সন্দেহভাজন এই যুবককে কালিম্পং থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাকিস্তানের এজেন্ট হিসাবে সে কাজ করতে বলে এসটিএফ সূত্রে খবর। তথ্য পাচার করার অভিযোগে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে রাজ্যের এসটিএফ।
ঠিক কী ঘটেছে কালিম্পংয়ে? এসটিএফ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া যুবকের নাম পীর মহম্মদ। তার সঙ্গে রাওয়ালপিন্ডিতে থাকা পাক অফিসারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তাকে জেরা করা হচ্ছে দফায় দফায়। এই গ্রেফতার রাজ্য পুলিশের এসটিএফের একটি বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। এই যুবকের মোবাইল থেকে নানা ছবি পাওয়া গিয়েছে। তাতেই উঠে এসেছে সে চরবৃত্তি করত। কালিম্পংয়ের বিভিন্ন এলাকায় ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কাজ করত যুবক পীর মহম্মদ। আর আড়ালেই এই গুপ্তচরবৃত্তির কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল।
কী তথ্য পাচার করত পীর মহম্মদ? এসটিএফ সূত্রে খবর, এদেশের গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচার করত সে। তার মোবাইলে ভারতীয় সেনার বিভিন্ন ক্যাম্পের ছবি মিলেছে। এমনকী সেনা ছাউনিগুলির লোকশনের ছবি মিলেছে তার ফোনে। এই চরের কাছ থেকে দুটি মোবাইল এবং একটি ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেইগুলি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পীর মহম্মদের মোবাইল ঘেঁটে বেশ কিছু পাকিস্তানি নম্বর হাতে এসেছে। এই নম্বরগুলিতে নিয়মিত ফোন করত সে।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, এই দেশের তথ্য পাকিস্তানে পাচার করে মোটা অঙ্কের টাকা পেত পীর মহম্মদ। নেপাল এবং বাংলাদেশ থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে তার কাছে টাকা আসত বলে তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা। এমনকী নেপালে অভিযুক্ত যুবকের যাতায়াত পর্যন্ত ছিল। বাংলাদেশে লোকজন থাকলেও সেখানে যেত না এই পাক চর। কারণ এখান থেকে যেতে বা ওখান থেকে আসতে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় ছিল। যেটা নেপাল যাওয়ার ক্ষেত্রে ছিল না। আজ, শনিবারই অভিযুক্তকে কালিম্পং আদালতে পেশ করা হবে।