জন্ম ও মৃত্যুর মতো এ বার অনলাইনে মিলবে বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের (প্রতিবন্ধী ) শংসাপত্র। এই শংসাপত্র নিতে চূড়ান্ত হায়রানির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ। তা কাটাতে অনলাইন ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসেছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সম্প্রতি এক ভার্চুয়াল বৈঠকে সিএমওএইচদের প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে আলাদা পোর্টাল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আর মাস খানেকের মধ্যে এই অনলাইন শংসাপত্র দেওয়া শুরু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বর্তমানে বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের শংসাপত্র পেতে চার থেকে পাঁচটি ধাপ পেরতে হয়। অনলাইন ব্যবস্থা চালু হলে মাত্র দু'টি ধাপের ঝক্কি পরোলে মিলবে শংসাপত্র। ফলে দালালরাজের দাপাদাপিকে রুখে দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর। সাধারণ ভাবে কোনও ব্যক্তির কোনও শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলে তাঁকে জরুরি পরীক্ষা করতে বলা হয়। সেই পরীক্ষার ফল দেখে চিকিৎসার তাঁকে মেডিক্যাল বোর্ডের কাছে যেতে বলেন। মেডিক্যাল বোর্ড সব কিছু যাচাই করে তাঁর আবেদনে ছাড়পত্র দেয়। ৪০ শতাংশ প্রতিবন্ধকতা থাকলে তবেই মেলে ছাড়পত্র। বোর্ডের সেই ছাড়পত্র দেখে প্রতিবন্ধী শংসাপত্র দেয় সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিস।
অনলাইনে হলে ডাক্তার দেখানো এবং মেডিক্যাল বোর্ডের সামনে হাজির হওয়া ছাড়া বাকি কাজগুলির 'ঝক্কি' কমবে। এই কাজগুলি হয়ে গেলেই অনলাইনে মিলবে প্রতিবন্ধী শংসাপত্র।