পুরুলিয়ার একটি হাইস্কুলে আবেদনপত্রে বানান ভুল বিতর্কের পর এবার একটি স্কুলের মূল ফটকে ভুল বানান লেখার অভিযোগ উঠল। সেখানে প্রাথমিক বানান লেখা হয়েছে ‘প্রার্থমিক’ এবং গ্রামীণ বানান লেখা হয়েছে ‘গ্রামিন’। সম্প্রতি এই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রাইমারি বানানও ভুল লেখা রয়েছে ওই স্কুলের মূল ফটকে। পুরুলিয়ার ১ নম্বর গ্রামীণ চক্রের রুদড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই বানান ভুলের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে এমনিতেই শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যে তোলপাড়। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের বানান ভুল থাকায় রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
স্কুলের মূল ফটকে বানান ভুল থাকায় পড়ুয়ারা কী শিখবে? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকদের একাংশ। এক অভিভাবকদের কথায়, ‘আমার ছেলে ওই স্কুলে পড়ে। এখন যদি বিদ্যালয়ে বানান ভুল থাকে তাহলে তারা তারা কী শিখবে? বানান ভুল নিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তাদের বক্তব্য, বানান ভুল থাকা সত্ত্বেও কেন তা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চোখে পড়ল না। এ নিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাকে আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকেই।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান কবিতা মাহাত জানিয়েছেন, যদি বানান ভুল থাকে তাহলে সেটা সংশোধন করে নেওয়া উচিত। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এ নিয়ে আরও যত্নশীল হওয়া উচিত। পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের কংগ্রেস সভাপতি নির্মল চন্দ্র মাহাত জানিয়েছেন, স্কুলের দরজায় বানান ভুল থেকে মোটেই ঠিক নয়। এটি দ্রুত সংশোধন করা উচিত।। অন্যদিকে, এসইউসিআই নেতা ভাগীরথ মাহাত এর জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাকে গুরুত্ব না দেওয়ার ফলে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে।’ যদিও জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রশান্ত মুখোপাধ্যায় কিছু মন্তব্য করতে চাননি।