পদ খোয়ালেন শ্রীধর মিশ্র। তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। ইতিমধ্যে তাঁর দেহরক্ষী এবং গাড়িও সরিয়ে নেওয়া হয়েছেও বলে দাবি একটি মহলের। যিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন নেতা তথা বাংলার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
২০১৬ সালে সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়। সেই ট্রাস্টের সম্পাদক পদ থেকে খুইয়ে শ্রীধর দাবি করেন, তাঁর হাত ধরেই ট্রাস্টের পথ চলা শুরু হয়েছিল। নিজেকে ট্রাস্টের ‘জন্মদাতা’ হিসেবে দাবি করে তাঁর বক্তব্য, ‘যাঁদের আমি হাতে ধরে কাজ শিখিয়েছিলাম, তাঁরাই আমার সঙ্গে বেইমানি করলেন। তাঁরাই আমায় সরিয়েছেন।’ যদিও রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র পালটা দাবি করেন, শ্রীধর ট্রাস্টের সদস্য নন। সাম্প্রদায়িক একটি দলের হাত ধরেছেন শ্রীধর। তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই।
এমনিতে ট্রাস্টের জন্মলগ্নে শ্রীধর তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। শুভেন্দু এবং প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ট্রাস্টের মুখ্য উপদেষ্টা ছিলেন। তারইমধ্যে বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু এবং রাজীব। একাংশের দাবি, তারপরও তাঁদের সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের মঞ্চে দেখা গিয়েছিলেন। শ্রীধরের সঙ্গেও যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা ছিল। একটি ছবিও ভাইরাল হয়েছিল। যদিও সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি 'হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা'। সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, শ্রীধরের সঙ্গে শুভেন্দু 'ঘনিষ্ঠতার' কারণেই কি পদ খোয়ালেন শ্রীধর?