বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Higher Secondary Results 2023: বাবা টোটো চালক, উচ্চমাধ্যমিকে চতুর্থ দক্ষিণ দিনাজপুরের সৃজিতা, সমাজসেবাই লক্ষ্য

Higher Secondary Results 2023: বাবা টোটো চালক, উচ্চমাধ্যমিকে চতুর্থ দক্ষিণ দিনাজপুরের সৃজিতা, সমাজসেবাই লক্ষ্য

বাবার সঙ্গে সৃজিতা বসাক। 

নিতান্তই গরিব পরিবার। আর সেই পরিবারকেই আলোকিত করলেন  সৃজিতা।

দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের অজ গ্রাম ডাঙ্গারহাট। সেখানকার এক হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান সৃজিতা বসাক। বাবা সুজিত বসাক টোটো চালিয়ে সংসার চালান। মা সোমা বসাক গৃহবধূ। দারিদ্রের সঙ্গে দিনরাতের লড়াই। আর লড়াই এগিয়ে যাওয়ার। লক্ষ্যে পৌঁছনর। সেই লড়াইতে সফল সৃজিতা। এই লড়াইয়ের দিনগুলো যে মানুষগুলো পাশে ছিলেন তাঁদের ভুলে যেতে চান না সৃজিতা। তাঁদের পাশে সবসময় থাকতে চান তিনি। সমাজসেবাকেই জীবনের ব্রত হিসাবে নিতে চান সৃজিতা। 

সৃজিতা জানিয়েছেন, আমি উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে চতুর্থ হয়েছি। আমাকে  সবাই সহায়তা করেছে। কাউকে বাদ দিতে পারব না। আমার বাবা মা, বন্ধুরা, শিক্ষকরা সকলে আমার পাশে থেকেছে।  আমি বড় হয়ে সোশ্য়াল ওয়ার্ক করতে চাই। তবে প্রথমে কিছু একটা করতে চাই। কিন্তু নিজের জন্য কিছু না। সমাজের জন্য় কাজ করতে চাই। দিনে ঘণ্টা দশেক পড়াশোনা করতাম। জানিয়েছেন সৃজিতা।

টিনের চালার ঘর। গ্রামের আর পাঁচটা বাড়ি যেমন হয়। ছোট থেকে দারিদ্রতা, কষ্ট, অভাব এটা খুব কাছ থেকে দেখেছেন সৃজিতা। কিন্তু লড়াইয়ের ময়দান থেকে কোনওভাবেই সরে যাননি তারা। বার বার দেখিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন এভাবেও এগিয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়। 

কিন্তু কীভাবে এত বড় সাফল্য পেলেন সৃজিতা? তিনি জানিয়েছেন, মন দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। পরিশ্রম করতে হবে। পরিশ্রম করলেই ফল মিলবে।

বাস্তবিকই পরিশ্রম করলে যে ফল মেলে তার প্রমাণ দেখিয়ে দিয়েছেন সৃজিতা। তবে সকলে যখন বলছেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই, তখন সৃজিতা বললেন সমাজসেবা করতে চাই। একেবারে অন্যরকম ইচ্ছে। গোটা বাংলা তাকিয়ে রয়েছে সৃজিতার মতো মেধাবী কৃতীদের দিকে। আরও এগিয়ে যাক সৃজিতার মতো কন্য়ারা, চাইছেন সকলেই। 

মেয়ের এই সাফল্যে চোখে জল বাবা মায়ের। হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ের এই সাফল্য়ে গর্বিত গোটা গ্রাম। 

এবার উচ্চমাধ্যমিকে চতুর্থ হয়েছেন তিনজন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর  ৪৯৩। ডাঙ্গারহাট হাইস্কুলের সৃজিতা বসাক, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের নরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, ও ইছাপুর হাই স্কুলের প্রেরণা পাল। 

 

 

বন্ধ করুন