OMR-এ কারচুপি থাকলে নয়া পরীক্ষা দেওয়া যাবে না, SSC মামলায় ‘অযোগ্যদের’ আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

এসএসসি মামলায় চিহ্নিত 'অযোগ্য' প্রার্থীদের জোড়া আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার শীর্ষ আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া যে সকল প্রার্থীদের ওএমআর শিট তথা উত্তরপত্রে কারচুপির অভিযোগ সামনে এসেছে, তাঁরা নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনওভাবেই অংশ নিতে পারবেন না (যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি আগামী ৩১ মে'র মধ্যে প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে)। সেইসঙ্গে এপ্রিলের বেতন পাওয়ার যে আর্জি জানান প্রশ্নাতীতভাবে অযোগ্য প্রার্থীরা, তাঁদেরও আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

৩টি ক্যাটেগরিতে অযোগ্য প্রার্থীদের চিহ্নিত

এমনিতে গত এপ্রিলে যখন এসএসসি মামলার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, সেইসময় স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিল, যে প্রার্থীদের প্রশ্নাতীতভাবে অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাঁরা নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সেইসঙ্গে বেতনও ফেরত দিতে হবে তাঁদের। আর তিনটি ভিত্তিতে সেই প্রশ্নাতীতভাবে অযোগ্য প্রার্থীদের নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রথমত, প্যানেলে নাম না থাকা সত্ত্বেও চাকরি পাওয়া প্রার্থী। দ্বিতীয়ত, ‘র‍্যাঙ্ক জাম্প’ করা প্রার্থী। তৃতীয়ত, ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল, এমন প্রার্থী।

কী আবেদন করেন অযোগ্য প্রার্থীরা?

আর ওএমআর শিটে যে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে, সেটার রেশ ধরেই নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন অযোগ্য প্রার্থীদের একাংশ। তাঁরা দাবি করেন, প্রশ্নাতীতভাবে যে অযোগ্যদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তাঁরা সেটার আওতায় পড়েন না। কারণ তাঁরা সাদা খাতা জমা দেননি। অথবা প্যানেলভুক্ত না হয়েও চাকরি পাননি। সেই পরিস্থিতিতে তাঁরাও নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার আর্জি জানান।

যদিও শুক্রবার সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশনের বেঞ্চ। শীর্ষ আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, রায়ে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করা হবে না। আর সেই রায় ঘোষণার পরে কীভাবে যোগ্য বা অযোগ্যের কথা আসছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্যের পরে বিকাশ কী বলছন?

আর সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নাতীতভাবে অযোগ্য প্রার্থীরা জোড়া ধাক্কা খাওয়ার পরে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, কেউ-কেউ ভেবেছিলেন যে সুপ্রিম কোর্টে একের পর এক মামলা করে শীর্ষ আদালতের মূল রায় (প্রায় ২৬,০০০ জনের চাকরি বাতিল) পালটে দেবে। সেই প্রচেষ্টা ধরে ফেলেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, আগে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, সেটাই বজায় থাকছে।