পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর থেকেই মোনালিসা দাস নামক এক অধ্যাপকের নাম উঠে এসেছিল। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ থেকে শুরু করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে তৈরি হয়েছিল নানা জল্পনা। তবে পার্থবাবুর গ্রেতারির পর থেকেই মোনালিসাকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি। তবে দীর্ঘদিন পর ফের একবার কাজে যোগ দিয়েছেন মোনালিসা। কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোনালিসা দাস দাবি করেন, তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাই এতদিন কাজে যোগ দিতে পারেননি।
২৩ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেতারির আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছিলেন না মোনালিসা। তারপর গতকাল এই প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেন তিনি। এই আবহে সংবাদমাধ্যমের কাছে মোনালিসা দাবি করেন, তিনি অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নামে কাউকে চেনেন না। মোনালিসার আরও দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর থেকেই চর্চিত হয়েছে তাঁর নাম। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিচিতি ছিল অধ্যাপিকা মোনালিসার। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছিল। পার্থবাবুকে ‘অভিভাবক’ আখ্যা দিলেও এই দুর্নীতির বিষয়ে তিনি অবগত নন বলেই জানিয়েছিলেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধেও উঠেছে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ।
এর আগে দাবি করা হয়েছিল, শান্তিনিকেতনে মোনালিসার মালিকানাধীন একাধিক বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। এই সবের মাঝেই মিডিয়ার নজর এড়াতে পারেনি মোনালিসার ‘উত্থান’। দাবি করা হচ্ছে, প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দৌলতেই মোনালিসার এই উত্থান। এরই মাঝে মোনালিসার ছাত্রদের ‘অগ্রাধিকার’ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দাবি করা হয়েছে, গত ২১-এর নির্বাচনে পার্থবাবুর হয়ে তিনি বেহালায় প্রচারেও ছিলেন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পরই একাধিক মহল থেকে দাবি করা হয় যে শান্তিনিকেতনে একসঙ্গে যেতেন পার্থ ও মোনালিসা। যদিও সেইসব দাবিকে ‘রটনা’ আখ্যা দিয়ে উড়িয়ে দেন মোনালিসা। তবে তা সত্ত্বেও মোনালিসার পদোন্নতি থেকে সম্পত্তির পরিমাণ, বাংলাদেশ ভ্রমণ নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। অভিযোগ উঠছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘সুপারিশেই’ এসব সম্ভব হয়েছিল।