ফের বেলঘরিয়ায় হানা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের। কয়েকদিন আগেই এই বেলঘরিয়ার একটি আবাসনে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ২৮ কোটি টাকা নগদ। এবার সেই বেলঘরিয়ারই ফিডার রোডে উপস্থিত ইডি কর্তারা। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন ধৃত হিসেবরক্ষক সুব্রত মালাকার। আজকেই কিছুক্ষণ আগে সুব্রতকে সোদপুরে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এই আবহে বেলঘরিয়ার ফিডার রোডে হানা দেন ইডি কর্তারা। সেখানে একটি অফিসে হানা দিয়েছে ইডি। মনে করা হচ্ছে এখান থেকে ইডি আরও বেশ তথ্যপ্রমাণ
প্রসঙ্গত, আজ টানা সাড়ে ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সুব্রত মালাকারকে আজকে দুপুর আড়াইটে নাগাদ গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের কর্মীদের নিয়ে সুব্রতের বাড়িতে অভিযান চালান তদন্তাকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।
জানা গিয়েছে, সিএ হিসেবে পরিচয় দেওয়া সুব্রতর বাড়ি থেকে অনেক পাসবই বাজেয়াপ্ত করা হয়। ইডি-র আশা, এই পাসবইয়ে যে লেনদেনের হিসেব নিকেশ আছে তা থেকে মূল চক্রীর বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যাবে। সুব্রতর নাকি ১০ থেকে ১২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে ইডি। এই সুব্রত মধ্যস্থতাকারী হিসেবে রাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে সুব্রতর স্ত্রী এবং বাবাকেও জেরা করে ইডি। বর্তমানে সুব্রতকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হচ্ছে সিজিও কমপ্লেক্সে।
এদিকে ইডির দাবি, তিন-চারদিনের মধ্যেই সোদপুরের বাড়ি বিক্রি করে এখান থেকে পালাতে চেয়েছিলেন সুব্রত। তবে তার আগেই ধরা পড়লেন তিনি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সুব্রতর অ্যাকাউন্টের পাসবই দেখে জানা গিয়েছে, মোটা অঙ্কের টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢোকার পরই তা চলে যেত অন্য কারও অ্যাকাউন্টে। অনলাইনে কাকে সুব্রত টাকা পাঠাতেন, তাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই আবহে প্রভাবশালী কোনও ব্যক্তির নাম জড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।