এককালে শিক্ষকতা ছিল ত্যাগের পেশা। দেশের যুব সমাজরে গড়ে তোলার কাজ করা শিক্ষক, শিক্ষিকারা নিজেরা খুব একটা বেশি স্বাচ্ছনে জীবন যাপন করতে পারতেন না। তবে যুগ পাল্টেছে। বেড়েছে শিক্ষকদের বেতন। শিক্ষকতার চাকরি পেতে এখন হুড়োহুড়ি কাণ্ড। এতটাই যে বেনিয়মের ঠেলায় যোগ্য প্রার্থীরাই চাকরিটা পান না। ঠিক এমনই ঘটেছিল ববতি সরকারের সঙ্গে। সাড়ে তিন বছর আগে তিনি যোগ্য হয়েও চাকরি পাননি। তাঁর বদলে বেনিয়ম করে শিক্ষকতার চাকরিতে ঢুকেছিলেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। তবে আদালতের সামনে তাঁর সেই বেনিয়ম ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এখন তাঁকে ফেরত দিতে হেব বিগত ৪১ মাসের বেতন।
বেনিয়মে চাকরিতে ঢুকে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ৪১ মাস শিক্ষকতা করেন অঙ্কিতা। সাড়ে তিন বছরের এই সময়কালে পাওয়া তাঁর বেতন এবার তাঁকে আদালতকে ফেরাতে হবে দুই কিস্তিতে। মোট কত টাকা জমা দিতে হবে অঙ্কিতাকে? জানা গিয়েছে, বিগত সাড়ে তিন বছরে বেতন বাবদ অঙ্কিতার অ্যাকাউন্টে ঢউকেছিল ১৬ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ, গড়ে মাসে প্রায় ৩৯ হাজার টাকা বেতন পেতেন অঙ্কিতা। অঙ্কিতা যখন চাকরিতে ঢুকেছিলেন, তখন তাঁর মাসিক বেতন ছিল ৩৮ হাজার ৬০০। গত এপ্রিলে তাঁর বেতন ছিল ৪৭ হাজার ৫৬ টাকা। এই পুরো টাকাই দুই কিস্তিতে ফেরাতে হবে অঙ্কিতাকে।
২০১৮ সালের ২৪ নভেম্বর শিক্ষিকা হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন অঙ্কিতা। এবথর এপ্রিল পর্যন্ত ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন তিনি। এই সময়কালে পাওয়া পুরো বেতন দুই দফায় কলকাতা উচ্চ আদালতের রেজিস্ট্রারকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথম কিস্তি দিতে হবে আগামী ৭ জুন এবং দ্বিতীয় কিস্তি দিতে হবে আগামী ৭ জুলাই।